রাজধানীতে আবাসিক ভবন হবে সর্বোচ্চ ৮ তলা। রাজউকের নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপে এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলছে, এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে ডিসেম্বরে। নগরীর উপর চাপ কমাতে নগরপরিকল্পনাবিদরা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন অবাস্তব।
রাজধানীতে যে কয়েকটি এলাকায় নতুন শহর গড়ে তোলা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম উত্তরার দিয়াবাড়ি। এখানে ১০ তলার এই ভবনটি তৈরি হচ্ছে ২৬ জনের বিনিয়োগে। এই এলাকার বেশিরভাগ ভবনের উচ্চতাই এমন। কিন্তু সম্প্রতি রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় যে প্রস্তাব করা হয়েছে সে অনুযায়ী উত্তরায় ৮ তলার বেশি ভবন তৈরির সুযোগ নেই। শুধু উত্তরা নয়, রাজধানীর সব এলাকাতেই জনসংখ্যা অনুযায়ী কোথাও ৪, কোথাও ৬ আবার কোথায় সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৮ তলা।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, বাসযোগ্য নগরী পেতে হলে এটি ভালো সিদ্ধান্ত।
নগর পরিকল্পনাবিদ আকতার মাহমুদ বলেন, এবারে চেষ্টা করা হয়েছে কীভাবে মানুষের ঘনত্বটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সে কারণে এবার ড্যাপে বিল্ডিং হাইট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যদিও আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি করা হলে আবাসন ব্যবসায় ধস নামবে। শুধু তাই নয়, তাদের দাবি, শহরের উপর চাপ কমাতে শহর বিকেন্দ্রীকরণ করা প্রয়োজন।
রিহ্যাবে সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা রয়েছে; যারা নিজের স্বার্থে এই আইনটা করতে যাচ্ছেন।
তবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলছে সিদ্ধান্তটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ড্যাপের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে; তারা একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটাকে নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
যেসব ভবনের নকশা ইতোমধ্যে পাশ করা হয়েছে সেগুলো নকশা অনুযায়ীই হবে, তবে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হওয়ার পর নতুন কোনো ভবন ৮ তলার বেশি হবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানী ঢাকা বিশ্বের অন্যতম বাস অযোগ্য শহর। সেই জায়গা থেকে এই শহরের উপর চাপ কমাতে কার্যকর সিদ্ধান্তগুলোই নিতে হবে, কিন্তু সেটি ভবনের উচ্চতা কমিয়ে কি না তা আবারো ভাবার সুযোগ আছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন