কোটি মানুষের নগরী ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা নিউমার্কেট। ব্যস্ততম এই স্থানের পথচারীদের সড়ক পারাপারের জন্য আছে প্রশস্ত একটি ফুটওভার ব্রিজ। অনেকের কাছে এটি নিউমার্কেট ও গাউছিয়া পাকা ব্রিজ হিসেবে পরিচিত। পথচারীদের পারাপার ছাড়াও এ ফুটওভার ব্রিজটি নিউমার্কেট ও গাউছিয়া মার্কেটের সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। ফলে কর্মব্যস্ত হাজারো মানুষের যাতায়াত এই ব্রিজটি দিয়ে। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজটির দুই পাশ দখল করে অবৈধভাবে বসা হকারদের জন্য হাঁটার পথ পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। রাস্তা পারাপারের জন্য এখান দিয়ে হাঁটতে গিয়ে গায়ের সঙ্গে গা লেগে যাওয়া সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের এক পাশ অবৈধভাবে দখল করে বসেছে প্রায় ৪০টি দোকান। সেখানে মিলছে ইলেকট্রনিক সামগ্রিক ছাড়াও পানির পট, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, গেঞ্জি, শার্ট, মোজা, ব্রাশ, পাপোশ, বিছানার চাদর, কানের দুলের দোকানসহ নানা রকম সামগ্রী। ক্রেতাদের টানতে হাঁকডাক দিচ্ছে দিচ্ছে হকাররা।
কলেজছাত্র মো. ইব্রাহিম জানান, ব্রিজে হকারদের উৎপাতে ঠিকভাবে হাঁটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজের দুই পাশ দখল করে অনেক সংকীর্ণ করে রেখেছে দোকানিরা। সব সময় ভিড় লেগেই থাকে।
খাইরুল আলম নামে নিউমার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, আমার দুইটি দোকান। একটি নিউমার্কেটে, আরেকটি গাউছিয়ায়। এই ব্রিজ দিয়ে দুই মার্কেটে যাতায়াত সহজ। কিন্তু ব্রিজটি হকারদের দখলে থাকায় মানুষ ঠেলাঠেলিতে এখান দিয়ে যাতায়াতের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। প্রতিনিয়ত হকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোমা আক্তার জানান, ফুটপাত হকারের দখলে। ফুটওভার ব্রিজও দখলে। সুস্থ মানুষ এই ফুটওভার দিয়ে যাতায়াত করলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। মেয়েদের সব সময় শঙ্কায় থাকতে হয় এই বুঝি ধাক্কা লাগল।
ফুটওভার ব্রিজ দখলে রাখা ইব্রাহীম জানায়, এখানে ব্যবসা করতে আমাদের টাকা দিতে হয় না। তবে পুলিশ উঠিয়ে দেয়, পরে আবার বসি।
ফুটওভার ব্রিজের আরেক দোকানি রফিক হোসেন বলেন, আমরা তো ইচ্ছে করে বসি না, পেটের দায়ে বসি। সরকার যদি আমাদের নির্দিষ্ট স্থান করে দেয় তাহলে আর বসব না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল জসিম উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে জানান, আমরা সম্মিলিত ভাবে উচ্ছেদ করে যাচ্ছি। যারা তারপরও বসে, তারা পুলিশের অগোচরে বসে। আশা করি এই সমস্যার শিগগিরই সমাধানে আসবে।
উচ্ছেদ অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুল ইসলামকে বারবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন