দয়াগঞ্জের রেলসেতুতে ভাঙা স্লিপার, লাইনের পাতের কোথাও কোথাও নাটও নেই। নড়বড়ে স্লিপার যাতে খুলে না যায় সেজন্য বাঁশ দিয়ে পেরেক মেরে আটকানো হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করে এই রেলসেতুটি দিয়ে।
আজ রবিবার রাজধানীর দয়াগঞ্জে রেলসেতুতে গিয়ে এসব দৃশ্য দেখতে পান কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক তারেক আজিজ নিশক। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে দয়াগঞ্জ রেলসেতুর ওপর স্লিপার আটকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। স্থানীয়দের মধ্যে যারা বিষয়টি জানেন তারা রেল চলাচলের সময় ভয়ে সেতুর নিচের রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন না।
জানা যায়, দয়াগঞ্জ রেলসেতুতে অনেকদিন ধরেই ভাঙা অবস্থায় রয়েছে কয়েকটি স্লিপার। এছাড়া স্লিপার ও লাইনের পাতের কোথাও কোথাও নাটও নেই। এই সেতুর ওপরে স্লিপারগুলোকে আটকে রাখতে একাধিক বাঁশ দিয়ে পেরেক মারা হয়েছে। কিন্তু এই বাঁশ কাঠামোগতভাবে কতটা শক্ত? প্রশ্ন উঠেছে।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, কাঠের স্লিপারে লোহার পাত ব্যবহারের পরিবর্তে বাঁশে ব্যবহারের কারণে রেললাইন সরে গিয়ে যেকোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এর আগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছে একটি ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতুর ওপরে স্লিপারগুলোকে আটকে রাখতে একাধিক বাঁশ দিয়ে পেরেক মারা হয়েছিল। একই এলাকা থেকে আসা একটি ভিডিও-তে দেখা যায়, অল্প বয়সী দুটি ছেলে রেললাইনের বেহাল দশা দেখাচ্ছে। এরইমধ্যে ট্রেন চলে আসলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের 'আল্লাহ আল্লাহ' বলতে শোনা যায়। ভিডিও-তে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল, ট্রেন যাওয়ার সময় লাইনের দুই পাতের সংযোগস্থলটি ভয়ংকরভাবে ওঠা-নামা করছিল। ট্রেন চলে যাওয়ার পর দেখা গেলো সংযোগ স্থাপনকারী নাটগুলো ঢিলে হয়ে গেছে। একটি নাট রীতিমতো অনুপস্থিত ছিল আগে থেকেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন