ভারতের করিডোর উন্মুক্ত না হলে দেশে গরুর গোশতের দাম কমবে না বলে জানিয়েছেন গাবতলীর ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন ভারত থেকে গরু আসার করিডোগুলো খুলে দিলে একদিনের মধ্যেই গরুর গোশতের দাম কমে যাবে।
রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন গাবতলী পশুর হাট কর্তৃপক্ষ, পশু ব্যবসায়ী ও গোশত ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি ঢাকা সিটি দক্ষিণ করপোরেশনের মেয়র গাবতলীতে চাঁদাবাজির কারনে গোশতের দাম বাড়ছে বলে যে মন্তব্য করেছেন তারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মেয়র মহোদয়কে ভূল তথ্য দেয়া হয়েছে। গাবতলীতে কোন ধরনের চাঁদাবাজি হয় না। ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ থাকায় মূলত দেশে গোশতের দাম বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, ভারত থেকে গরু আসার করিডোগুলো খুলে দিলেই একদিনের মধ্যেই গোশতের দাম কমে যাবে।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, গাবতলীতে কোন ধরণের চাঁদাবাজি হয় না। আর হাসিল বা ফি নেয়া হয় সরকার নির্ধারিত হারেই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চাঁদাবাজির যে তথ্য উপাত্ত দেয়া হয়েছে তা ভিত্তিহীন। মেয়রের এই বক্তব্যে গাবতলী ব্যবসায়ীদের সুনাম ও ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোশত ব্যবসয়ীরা জানান, ঢাকায় চাঁদাবাজির কারণে যদি গোশতের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ করা হয় তাহলে আমাদের প্রশ্ন- ঢাকার বাইরে গোশতের দাম ঢাকার চাইতেও বেশি কেন? ঢাকায় গোশতের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে একটি মাফিয়া চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। এই মাফিয়া চক্রটি কারা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, বিষয়টি তদন্ত করা দরকার। তদন্ত করলেই কারা এর সাথে জড়িত তা বের হয়ে আসবে। ঢাকা দক্ষিণের মেয়রকে বিষয়টি তদন্ত করার অনুরোধও জানান গাবতলীর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গাবতলী গবাদি পশু ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো: মজিবর রহমান, কাপ্তান বাজার গোশত ব্যবসায়ী নেতা হাজী মো: রুবেল, গাবতলী পশুরহাট পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা মো: সানোয়ার হোসেন, আবুল হাসেম প্রমূখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন