‘শিশু/বাচ্চাদের নিয়ে মসজিদে প্রবেশ নিষেধ’ এরকম ব্যানার লিখে বাচ্চাদের মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উত্তরা ১০নং সেক্টর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞার ব্যানার ফেসবুকে ভাইরাল হলে সবাই এর সমালোচনা করতে থাকে। পরে চারিদিকে সমলোচনার মুখে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
এ বিষয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘যারা এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়, তারা মুর্খ। কারণ রাসুল (স.) এর যুগ থেকে বাচ্চাদের মাসজিদে নিয়ে আসার প্রচলন ছিল। এমনকি রাসুল (স.) নামাজের সময় বাচ্চাদের কান্নাকাটিতে নামাজ সংক্ষিপ্ত করতেন। শুধুমাত্র সতকর্তার ক্ষেত্রে যেসব বাচ্চা প্রেসাব-পায়খানা করে, তাদের নিষেধ করা হয়েছে। কাজেই যারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেয়, তারা আসলেই মুর্খ।’
একইভাবে মুফতি সাখওয়াত হোসাইন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘শরিয়াতে বাচ্চাদের নিয়ে আসতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। বরং মসজিদে নামাজের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের পরে মসজিদ নামাজের জায়গা হচ্ছে বাচ্চাদের। তবে যেসব বাচ্চা পেশাব-পায়খানা করতে পারে মসজিদে তাদের নিষেধ করা হয়েছে। ঢালাওভাবে মসজিদে বাচ্চাদের প্রবেশে শরিয়াতে কোনো বাধা নেই।’
এদিকে ফেসবুকে মসজিদ কর্তৃপক্ষের বাচ্চাদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ছড়িয়ে পড়লে চারিদিকে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাদের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরা ১০নং সেক্টর কেন্দ্রীয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ নির্বাহী সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আসলে এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। একপক্ষের কথা শুনে আমরা গতকাল সকালে এই নিষেধাজ্ঞার ব্যানার দিয়েছিলাম। আজকে (বৃহস্পতিবার) সকালে আমরা ব্যানারটি সরিয়ে ফেলছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মসজিদে মহিলারাও নামাজ পড়তে আসে। তাদের বাচ্চা আসাতে কিছু মুসল্লি এটা নিয়ে বিরক্ত হয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিল। যার কারণে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলাম কমিটির পক্ষ থেকে। আসলে আমাদের ভুল হয়েছে, মসজিদের হুজুরের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হতো। যাহোক আমরা ব্যানারটি সরিয়ে ফেলেছি, এটা নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন