পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন, বেলা ৪টা। সাতরাস্তা থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত যানাবাহন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে। যানবাহনের চাকা ঘুরছে না একেবারেই। সড়কটির ফ্লাইওভার অংশেও তীব্র যানজট।
তেজগাঁওয়ে একটি বিস্কুট কোম্পানিতে চাকরি করেন জিন্নাত মিনহাজ (৪৬)। স্বপরিবারে বসবাস করেন আমিজমপুর বটতলা এলাকায়। অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশখানিকটা আগেই অফিস থেকে বের হয়েছেন। যানজটের কবলে পড়ে মগবাজার ফ্লাইওভারে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাকে বহনকারী গাড়ি।
মিনহাজ বলেন, অন্যান্য দিন অফিস থেকে বের হতে সাড়ে ৫টা পার হয়ে যায়, আজ ৪টায় বের হয়েছি। প্রথম ইফতারি পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে করব। চলতি পথে কিছু ইফতারি পণ্য কেনাকাটা করব। কিন্তু সময়মতো ঘরে পৌঁছাতে পারব কিনা জানি না।
রমজান মাসে রোজাদাররা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার করতে চান। ব্যস্ততা কাটিয়ে ইফতারের সময় হওয়ার আগেই বাড়ি ফেরার তাগিদ থাকে। কিন্তু এতে বড় বাধা যানজট।
মগবাজার ও মৌচাক এলাকায় দেখা যায় ঘরমুখো মানুষেরা যানবাহন পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে ঘরে ফিরছেন তারা।
মগবাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়ে সাইফুল ইসলাম। বসবাস করেন হাতিরঝিল সংলগ্ন মধুবাগে। ২০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও উঠতে পারছেন না না কোনো বাসে। সবগুলো বাস যাত্রীতে ঠাসা। ফলে বাধ্য হয়ে রিকশায় চড়ে ঘরে ফিরছেন তারা।
মৌচাক রেলগেটের কাছে ফলের ব্যবসা করেন শাহিন শেখ। সপরিবারে থাকেন টঙ্গী স্টেশন রোডে। নতুন বাজারে তীব্র যানজটে আটকে পড়েছেন তিনি। যানজটের কারণে পরিবারের সঙ্গে প্রথম দিনের ইফতারি করতে পারবেন কিনা তাই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় শাহিন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন