ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে, মূলধন নেই এমনটা কাম্য নয় উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, জনগণের টাকায় চোর বাটপার লালন পালনের কোন মূল্য নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে পালিয়ে যাবে। সেই টাকা জনগণের।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে মূলধন দিচ্ছে সরকার। তাও জনগণের টাকায়। এটা কাম্য নয়। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় চোর বাটপারদের পুনর্বাসন করার কোন সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার নগর ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত জরিপ, করনেট সম্প্রসারণ ও করদাতা উদ্ধুদ্ধকরণ বিষয়ক সভায় মেয়র এই কথা বলেন।
মেয়র বলেন, জনগণের ট্যাক্সের পয়সার স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে সবাই কর সঠিক সময়ে দিবে।
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে উপকর দাবি করেন মেয়র খোকন। তিনি বলেন, ১২০ কোটি টাকা এ বছর জাতীয় রাজস্ব রোর্ডকে দিয়েছে ডিএসসিসি।
‘আমরা যেভাবে দিতে চাই, সেভাবে নিতে চাই’ এমন কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর চতুর্থ তফসিলে ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সরকার যে কর আদায় করবে, সেখান থেকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে একটা উপকর প্রদান করবে। এটা আইনে পরিষ্কার বলা আছে।
তিনি বলেন, বিগত সময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে এ বিষয়ে। সে এক মত প্রশ্ন করেছেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা শহর থেকে শুধু ট্যাক্স আদায় করলে হবে না। গ্রামের অনেক জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখান থেকেও ট্যাক্স আদায় করতে হবে। না হলে দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূইয়া বলেন, সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের বছরে ৫ হাজার টাকা মাত্র ট্যাক্স। যা অনেকে জানেন না কিংবা ভয়ে জানতে চায় না।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে একটা উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদের টিআইএ নম্বর শুধু দিলে হবে না। রিটান দাখিলের কপি দেখাতে হবে।
একই সাথে যারা ফ্লাট বাসায় থাকেন তাদের সবার কাছে কি খোঁজ নেওয়া হবে তারা ট্যাক্স দেয় কিনা। এমন উদ্যোগ খুব শীঘ্রই নেয়া হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ট্যাক্স রেজিস্ট্রেশন দ্বিগুণ বাড়ানো হবে। রিটান দাখিলের সংখ্যাও দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হবে।
এ জন্য ট্যাক্স অফিসকে আয়কর মেলার রূপ দিতে হবে। সেই সাথে ট্যাক্স অফিসের সকল কর্মকর্তার ব্যবহার ভালো করার পাশাপাশি অফিসের পরিবেশ উন্নত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সেই সাথে জনগণের সাথে মিশে যাওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সবার কাছে গিয়ে বুঝাতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার (ঢাকা অঞ্চল) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন,
এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, সদস্য (আয়কর জরীপ ও পরিদর্শক) মোহাম্মদ গোলাম নবী, বিজিএমইএ পরিচালক মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন