ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শেষ হলেও, কমলাপুর রেলস্টেশনের প্লাটফরমেই ব্ল্যাকারদের হাতে হাতে ঘুরছে টিকিট। রেলের কর্মচারি থেকে শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরাও জড়িত টিকিট কালোবাজারিতে। অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব টিকিট। রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও এসব টিকিট কালোবাজারি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের সোনার হরিণ রেলের টিকিট এখন কালোবাজারিদের হাতে। চোখ-কান খোলা রাখলেই খোঁজ মিলবে তাদের। কমলাপুর স্টেশনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়ে কথা হচ্ছিল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যের সঙ্গে।
এছাড়া টিকিটের খোঁজে কথা হয় আরও দুজন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে। যারা প্রত্যেকে টিকিট কালোবাজারি, দ্বিগুণ মূল্যে যে কোন টিকিট দেয়ার কথা জানান।
কাউন্টারের সামনেই দেখা মিললো রেলের এক কর্মচারির সঙ্গে যিনিও একই লাইনের। ভিতরে লোক আছে এমন তথ্য জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন আরেকজন।
অপেক্ষার মাঝেই দেখা মিলল এক টিকিট কালোবাজারির। কমলাপুর স্টেশনেই বাস করেন তিনি।
একজন টিকিট সংগ্রহকারী বলেন, খুব ইমার্জেন্সি আমার টিকিট দরকার। এ কারণে ২টা ২৭০০ দিয়ে নিয়েছি।'
তিনিও রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য, কয়েকগুণ বেশী দামে যে কোন টিকিট মিলছে তার কাছে। ক্রেতা সেজে টিকিট চাইলে ২০ আগস্টের ৪ টিকিট সাড়ে চার হাজারে বিক্রি করতে সম্মত হন।
টিকিট বিক্রির শুরু থেকে কালোবাজারি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা বলছে প্রশাসন। এত নিরাপত্তার মধ্যেও কালোবাজারি নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন রেলওয়ে পুলিশ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন ফারুক বলেন, 'এ পর্যন্ত কোন টিকিট কালোবাজারির কোন অপরাধী কর্মকাণ্ড রেলষ্টেশনে হয়নি। রেলের নিরাপত্তাবাহিনী যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে তবে তাৎক্ষণিক সময়ে তাদেরকে টিকিট কালোবাজারি হিসেবে আটক করে নিয়ে আসবো।'
তবে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে ক্যামেরা দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, রেলের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ঢাকা বিভাগ রেলওয়ে ম্যানেজার গাউস আল মনির বলেন, 'এসব কি করছেন। আপনি বলছেন, কিছু করবেন না। আর আমি রেলওয়ের কেউ না।'
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন