কথা কম, কাজ বেশি। মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচয় দিতে এই বাক্যই যথেষ্ট ছিল। ক্যামেরার সামনে ইতস্ততবোধ করা কাটার মাস্টার কথা বলতেন কব্জির জোরে। ২০১৫ সালে অভিষেক হওয়া মোস্তাফিজ দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছেন। দেশ-বিদেশে বাইশ গজ মাতিয়ে টাইগারদের পেস আক্রমণের সেরা অস্ত্র এখন তিনি। ইদানীং ক্যামেরার সামনেও ঠিকঠাক কথা বলতে পারেন মোস্তাফিজ। তবে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছে খানিকটা। তবে কি মোস্তাফিজ হারিয়েছেন পুরনো জৌলুস? বিষয়টা মানতে আপত্তি আছে বাঁ হাতি এই পেসারের। সঙ্গে জানালেন ভালো করার চেষ্টার কথা।
ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাশার প্রতিদান দেয়নি বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। শ্রীহীন পারফর্ম করেন মোস্তাফিজ।
৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট। যে বোলারের আক্রমণে ব্যাটারদের পা কাঁপত, দারুণ নৈপুণ্যে যিনি আইপিএলের নিয়মিত খেলোয়াড় বনে গেছেন, তার থেকে এমন পারফরম্যান্স হতাশাব্যঞ্জকই। তাইতো মোস্তাফিজের পুরনো পারফরম্যান্সকে বড্ড মিস করে ভক্ত-সমর্থকরা।
শুধু ডমিনিকা নয়, অনেক দিন ধরেই মোস্তাফিজ নেই চেনা ছন্দে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ ১০ ইনিংসে তার সংগ্রহ মাত্র ৫ উইকেট, গড় ৫২.২০। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৮.১১। আগের সেই মোস্তাফিজকে কেন পাওয়া যাচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে কাটার মাস্টার বলেন, ‘আপনারা না পেতে পারেন (আগের মোস্তাফিজকে), আমি তো মনে করি... অপারেশনের পর (২০১৬ সালে) এক-দেড় বছর ছন্দে ছিলাম না। এরপর তো আমি মনে করি...।’
মোস্তাফিজ বলেন, ‘শেখার তো শেষ নেই, উন্নতি প্রতিদিন করা যায়। আমি চেষ্টা করছি আরো উন্নতি করার জন্য যে বিশ্বের ভালো ভালো বোলারদের মধ্যে কীভাবে থাকা যায়। ফিটনেস বলেন, কোচদের পরামর্শ নেয়া বলেন, আমি শিখছি এখনো।’
দেশের চেয়ে বিদেশে অধিক হতাশাব্যঞ্জক মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স। গড়, ওভারপ্রতি রান সবই দেশের চেয়ে দেশের বাইরে বেশি, ধারাবাহিকতায় ঘাটতি স্পষ্ট। এশিয়ার বাইরে তো আরো নাজুক। ৯ ম্যাচে উইকেট ১২টি, ওভারপ্রতি রান ৯.১২! এমন পারফরম্যান্সের নেপথ্যে উইকেটের দোষ দেখছেন মোস্তাফিজ। তিনি বলেন, ‘এশিয়ান উইকেট একরকম, এশিয়ার বাইরে অন্যরকম। এশিয়ার বাইরের উইকেট খুব ভালো, ‘ট্রু’ উইকেট থাকে। এটার কারণে হতে পারে।’
মোস্তাফিজ বলেন, ‘সবসময় সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি। এশিয়ার ভেতরে দেখবেন, অন্য দলের ১৫০ রান করতেও কষ্ট হয়। এশিয়ার বাইরে ২০০ রান করলেও নিরাপদ নয়। আমার মনে হয়, এই কারণে ইকোনমি (ওভারপ্রতি রান) বাড়তে পারে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন