আইপিএল শুরু হলেই ভারতে জুয়ার ধুম পড়ে যায়। বাংলাদেশেও তাই। এই জুয়া খেলতে গিয়ে সব হারিয়ে ঘটছে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও। যে বেটিং সংস্থাগুলো এই জুয়া পরিচালনা করে, সেগুলোর বেশ কয়েকটির ব্র্যান্ড অ্যম্বাসেডর হয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। জুয়া খেলার মাধ্যমে 'আত্মহত্যা প্ররোচনার' অভিযোগে এবার এই দুই মহাতারকাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
আউটলুকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়া খেলে ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে চলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মাদ্রাজ আদালতের মাদুরাই বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সরাসরি আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেভাবে কোহলি এবং সৌরভের জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে অনলাইন বেটিং সংস্থাগুলি জাঁকিয়ে বসছে, তা উদ্বেগজনক। অনলাইন বেটিং সংস্থার মাধ্যমে নগদ টাকা লেনদেন হওয়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী মোহাম্মদ রিজভি। এতে রানা দুগ্গুবাতি, তামান্না ভাটিয়াদের মতো জনপ্রিয় সেলিব্রেটিরা কীভাবে বেটিং সংস্থার প্রচার করেছেন তা উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এমপিএল এনডোর্স করেন বিরাট কোহলি। এম১১ সার্কেলের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় শচীনের মুখ। ধোনি আবার ড্রিম১১-এর ব্র্যান্ড অ্যম্বাসেডর। বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীকে দেখা যায় একাধিক বিজ্ঞাপনে। আইপিএল আয়োজনের আগে ভিভো সরে যাওয়ার টাইটেল স্পনসর হয় ড্রিম ইলেভেন। এমপিএল আবার কিট স্পনসর হিসাবে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল স্পনসর তিনি। তবে আইপিএল চলাকালীন সময়েই এর খারাপ প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। জুয়া খেলা আত্মহত্যার সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়ে যায়।
ভারতের বহু রাজ্যে এখনো অনলাইন বেটিং, লটারি নিষিদ্ধ। ২০১৯ সালের কনজিউমার প্রোটেকশন এক্ট অনুযায়ী, যে পণ্য এনডোর্স করছেন সেলিব্রেটিরা, সেই বিজ্ঞাপণের গুণগত মান জানতে হবে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের জাস্টিস এন কিরুবাকরান, এবং জাস্টিস বি পুগালেনধি বৃহস্পতিবার জানতে চান, অর্থ লেনদেন করার গেমিং প্ল্যাটফর্ম এনডোর্স করার জন্য সেলিব্রেটিদের দায়ী করা যায় কিনা? জাস্টিস কিরুবাকারণের পর্যবেক্ষণ, 'একজন সেলিব্রেটি বিজ্ঞাপনে সাধারণ মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছান? তারা সেই সেলিব্রেটিদের ফলো করেন। বিরাট কোহলি, সৌরভ গাঙ্গুলীদের তো অসংখ্য ফলোয়ার আছে।'
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন