গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের র্যাপিড অ্যান্টিবডি ডট ব্লট টেস্ট কিটের নিবন্ধনের অনুমতি না দিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জনগণের সাথে অন্যায় এবং দেশের সাথে শত্রুতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বরাত দিয়ে শনিবার (২৭ জুন) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্যের কিটের নিবন্ধন করার অনুমতি না দিয়ে জনগণের অধিকারের প্রতি অন্যায় ও দেশের প্রতি শত্রুতা করেছে। এ ব্যাপারে সবার সাথে আলোচনা করে আমরা পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের বরাত দিয়ে মিন্টু জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে জ্বর আছে। তিনি কথা বলেন আস্তে আস্তে। নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করছেন। আর উনার শরীরও দুর্বল। তবে অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না।
তিনি আরো জানান, ডা. জাফরুল্লাহর শরীরে করোনাভাইরাস ইনফেকশন নেই তবে নতুন ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে এবং ইনফেকশনও আছে। তাকে আরো বেশ কিছুদিন দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
গত ২৪ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হয়। ১৩ জুন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর টেস্টের রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ এসেছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এন্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার।
মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, পরীক্ষায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। আর পরীক্ষায় তার দেহে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
গত ৫ জুন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি ঘটে। ওই দিন থেকেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি, অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন