করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নড়াইলের তিনটি উপজেলা ৭২ জন হোম কোয়ারেন্টাইন আছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। একদিনের ব্যবধানে প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন ছিলেন মাত্র ২০জন।
সিভিল সার্জন অফিস ও হাসপাতালের চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় নড়াইলে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা এখন ৭২। এর মধ্যে লোহাগড়ায় উপজেলায় ১৪, সদরে ২১ ও কালিয়ায় ৩৭ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের ব্যাপারে আতঙ্কিত না হতে এবং জনসচেনতা সৃষ্টিতে গত ১৭ মার্চ থেকে প্রায় প্রতিদিনই তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছুটে যাচ্ছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা। এরই মধ্যে নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে করোনা চিকিৎসার প্রস্তুতি দেখেছেন তিনি। এছাড়া হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের অংশগ্রহণে সচেতনমূলক সভা করেছেন মাশরাফি।
এ ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, যেসব কারণে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে, তা যথাযথ ভাবে মেনে চলতে হবে। আর নড়াইলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, করোনায় আক্রান্তদের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে ১০টি, কালিয়া ও লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে হাসপাতালে ভর্তির মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতার জন্য নড়াইলের সবকটি পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ সভা-সেমিনার, লোকসমাগম বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে আইনশৃংখলাবাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতনমহল। তা না হলে জেলায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন