জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ৫ টেস্টে উইকেট ৩৫টি তাইজুলের। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সারাদিনে স্বাগতিক বোলাররা ৬ উইকেটের পতন ঘটালেও তাইজুলের ঝুলিতে জমা পড়েনি একটি উইকেটও।
দিনশেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৬ উইকেটে ২২৮। মুমিনুলের বাংলাদেশ, না ক্রেইগ আরভিনের জিম্বাবুয়ের- প্রথম দিনটি তাহলে কার? ঢাকা টেস্টে তাহলে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ? উইকেট কেমন? ‘টিপিক্যাল’ শেরে বাংলা পিচ- স্লো অ্যান্ড লো। বল কি প্রথম কয়েক ঘণ্টা যেতেই একটু-আধটু টার্ন করতে শুরু করছে?
খেলা না দেখা কেউ স্কোরলাইন দেখে হয়ত তাই মনে করছেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসলে উইকেট মোটেই বোলিং ফ্রেন্ডলি ছিল না। বল ঘোরেনি একটুও। তেমন নিচুও থাকেনি। উইকেটটা কেমন ছিল? দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠলো।
নাঈম হাসানের জবাব, ‘এটা আসলে এতোটা টার্নিং উইকেট ছিল না। ব্যাটিং বান্ধব উইকেট ছিল।’ তাই যদি হয়, তাহলে দিনশেষে বাংলাদেশেকে কোথায় রাখবেন, কালকের পরিকল্পনাই বা কি? নাঈম হাসানের জবাব শুনে মনে হলো, উইকেট ভাল। মানে ব্যাটিং করা কঠিন নয়।
তাই মুখে এমন কথা, ‘এখনও উইকেটটাও ভালো আছে। এ পিচে উইকেটে টিকে থাকতে পারলে ব্যাটিং করা সহজ।’
তার নিজের চার উইকেট পাওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নাঈম তাইজুল ইসলামকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, ‘একপাশ থেকে ব্যাটসম্যানদের চাপ দেওয়াতে আমি উইকেট পেয়েছি। তাইজুল ভাই ওইপাশ থেকে ভালো বোলিং করছে বলেই আমি পেয়েছি। কাল যদি আমি এই পাশ থেকে ডট দেই তাহলে তাইজুল ভাই পাবে। পার্টনারশিপ বোলিং।’
তিনি নিজে কি চেষ্টা করেছেন? তা জানতে চাইলে নাঈম বলেন, ‘আমি কিছু চেষ্টা করিনি, কেবল একটা জায়গাতে বোলিং করেছি।’ আরভিনের উইকেটে পাওয়া নিয়ে কিছু বলতে বলা হলে নাঈমের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, দিনশেষ উইকেট পাওয়াটা লক্ষ্য ছিলো। যত তাড়াতাড়ি অলআউট করতে পারি ততোই ভালো। ওর ( আরভিনের ) উইকেট পাওয়ার পর টেলঅ্যান্ডার আছে। এখন চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি ওদের আউট করা যায়।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন