বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরালেন নাঈম হাসান। মাসভাউরের পর টেইলরকে দ্রুত ফিরিয়ে দিলেন তিনি। তাতে প্রতিপক্ষের ওপর কিছুটা হলেও চাপ সৃষ্টি হলো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫০ রান। ইতিমধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন অরভিন। তিনি ৬০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। ৭ রান নিয়ে তার সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন সিকান্দার রাজা।
সিরিজের একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দলের অধিনায়ক ক্রেগ অরভিন। তবে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল ছিলেন না তার টিমের দুই ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে ও কেভিন কাসুজা। রান পেতে ভুগছিলেন তারা। প্রথম ৬ ওভারে কোনো রানের খাতা খুলতে পারেননি এ জুটি।
স্বভাবতই চাপ বাড়ছিল। তা কাটাতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন কাসুজা। আবু জায়েদের বলে গালিতে তার দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন নাঈম হাসান। তাতে দলীয় ৭ রানে ভাঙে সফরকারীদের ওপেনিং জুটি। পরে ক্রেগ অরভিনকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন প্রিন্স মাসভাউরে। ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা।
এক পর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে মাসভাউরে-অরভিনের মধ্যে। টাইগার বোলারদের রীতিমতো শাসাতে শুরু করেন তারা। উভয়ই ব্যাটে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন। তাতে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশকে হতাশ করে ১ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় তারা।
বিরতি থেকে ফিরেও ছন্দময় ক্রিকেট খেলেন মাসভাউরে-অরভিন। তবে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে তাদের মধ্যে। নাঈমের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন মাসভাউরে। ফেরার আগে করেন ক্যারিয়ারসেরা সর্বোচ্চ ৬৪ রান। তাতে অধিনায়কের সঙ্গে ভাঙে তার ১১১ রানের জোট। সেই রেশ না কাটতেই অভিজ্ঞ ব্র্যান্ডন টেইলরকে সোজা বোল্ড করে দ্রুত ফিরিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন নাঈম।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: প্রিন্স মাসভাউরে, কেভিন কাসুজা, ক্রেগ অরভিন (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন টেলর (উইকেটরক্ষক), টিমিসেন মারুমা, সিকান্দারা রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), ডোনাল্ড তিরিপানো, এন্সলে এনদিলোভু, ভিক্টর নায়াউচি ও চার্লটন টিসুমা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন