নাঈমের আশা জাগানিয়া ব্যাটিংভারতের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৯১ রান তাদের।
তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার বিদায় নেন। ১২ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা বাংলাদেশ কাটিয়ে উঠছে মোহাম্মদ নাঈম ও মোহাম্মদ মিঠুনের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে। এরই মধ্যে ৩৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেছেন নাঈম। ৭ চার ও ১ ছয়ে পঞ্চাশ ছোঁন আগের দুই ম্যাচে ২৬ ও ৩৬ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
টানা দুই বলে লিটন-সৌম্যর বিদায়
মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে লিটন দাস প্রথম ২ ওভারে ১১ রান তোলেন। তৃতীয় ওভারে দীপক চাহার বল হাতে নিয়েই ছোটখাটো ধস নামান। ২ চারে ৯ রান করা লিটনকে ওয়াশিংটন সুন্দরের চমৎকার ক্যাচ বানান তিনি। পরের বলে শিবম দুবেকে ক্যাচ দেন সৌম্য সরকার। নিজের প্রথম বলে আউট হন তিনি।
সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১৭৫ রান
দুই ওপেনারকে দ্রুত ফিরিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ার ঝড়ো ফিফটিতে তাদের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে ভারত। টি-টোয়েন্টি সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৭৫ রান। স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে করেছে ১৭৪ রান।
টস হেরে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে আল আমিন হোসেন দেন মাত্র ৩টি রান। পরের ওভারের তৃতীয় বলে শফিউল ইসলাম ভাঙেন রোহিত শর্মার লেগ স্টাম্প। ৬ বলে ২ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। দিল্লিতে প্রথম ম্যাচেও প্রথম ওভারেই তিনি এলবিডাব্লিউ হন শফিউলের বলে।
শফিউল তার তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানকেও ফেরান। ষষ্ঠ ওভারে তার দ্বিতীয় বলে অনেক উঁচুতে শট খেলেন ধাওয়ান। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ ধরেন মাহমুদউল্লাহ। ১৬ বলে চারটি চারে ১৯ রান করেন ধাওয়ান। লোকেশের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৩ বলে ৩২ রানের।
ওই ওভারের পঞ্চম বলেই আইয়ারকে জীবন দেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় বলে জীবন পেয়ে রানের খাতা খোলেন আইয়ার। তার সঙ্গে লোকেশের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি অস্বস্তিতে রেখেছিল বাংলাদেশকে।
ফিফটিও করেন লোকেশ, ৩৩ বলে। এর ২ বল পর আল আমিনের শিকার হন তিনি। ৩৫ বলে ৭ চারে ৫২ রান করে লিটন দাসের ক্যাচ হন এই ব্যাটসম্যান। আল আমিন দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই ভাঙেন ৪১ বলে ৫৯ রানের জুটি।
এরপর জ্বলে ওঠেন শূন্য রানে জীবন পাওয়া আইয়ার। এই ব্যাটসম্যানই ঝড়ো এক ইনিংস খেলে ভারতকে দারুণ সংগ্রহ এনে দেন। ২৭ বলে তিনি করেন প্রথম ফিফটি, ১ চার ও ৫ ছয়ে। আফিফ হোসেনের প্রথম ওভারেই টানা তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।
ঋষভ পান্তের সঙ্গে আইয়ারের ঝড় থামান সৌম্য সরকার। ভাঙেন ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো জুটি। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে পান্তকে ৬ রানে বোল্ড করেন তিনি। এরপর পঞ্চম বলে আইয়ারকে থামান সৌম্য। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৬২ রান করে লিটনকে ক্যাচ দেন আইয়ার।
১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আরও একবার ক্যাচ মিস করেন বিপ্লব। ডিপ মিডউইকেটে শিবম দুবের ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি। ৩ রানে জীবন পান তিনি। দুবে ৯ রানে, আর মনিশ ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন শফিউল ও সৌম্য। আফিফ ও মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন খরুচে। একমাত্র ওভারে ২০ রান দেন আফিফ, মোস্তাফিজের ৪ ওভারে ভারত পায় ৪২ রান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন