প্রচলিত একটি কথা রয়েছে ‘আইন সবার জন্য সমান, কিন্তু বাস্তবে এটার যথাযথ ব্যবহার খুব কমই দেখা যায়। সেটির বাস্তব প্রমাণ মিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ডে।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানো এবং স্পট ফিক্সিংয়ের খবর প্রচারের পরেই কোন তদন্ত ছাড়াই মোহাম্মদ আশরাফুলকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিলো বিসিবি। কিন্তু তখনও তার অপরাধ প্রমাণি হয়নি। মাত্র গঠন করা হয়েছিলো ট্রাইবুনাল।
সে সময় বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, দুর্নীতির এসব ব্যাপারে শূণ্য পরিমান ছাড় দিবেনা বিসিবি। আর ট্রাইবুনাল রিপোর্ট কত দিনে দিবে তার জন্য অপেক্ষা না করে শক্ত অবস্থানে থেকে শাস্তি প্রদানের নিশ্চয়তা দেন। যে সিদ্ধান্তে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে এমন সততার পরিচয় দিয়ে বাহবা অর্জন করে বোর্ড।
কিন্তু এবার সেই বিসিবি সভাপতির কন্ঠেই ভিন্ন সুর। বেশ কদিন ধরেই ক্রিকেট পাড়ায় আলোচিত খবর, বিসিবির পরিচালক ও আবাহনীর ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান ভুইয়া মদ, জুয়া, ক্যাসিনো, ও বিদেশে টাকা পাচারের দায়ে র্যাবের হাতে গ্রেফতার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপরাধ শিকারও করেন লোকমান। নেয়া হয়েছে রিমান্ডেও। কিন্তু তবুও বিসিবি কাছে নির্দেশ তিনি!
এবার বিসিবি সভাপতি বললেন, আইনগতভাবে প্রমাণ হলে তারপর পদক্ষেপ নিবে বিসিবি। লোকমানকব নিজের বন্ধু দাবি করে পাপন তো তার চরিত্রেরও সার্টিফিকেট একরকম দিয়ে ফেললেন। কোন দিন না কি মদই খাইতে দেখেননি তিনি। তাই এমন মানুষের বিপক্ষে অপরাধ প্রমাণ হলেই কেবল শাস্তি দিবে বিসিবি! নিজের অপরাধ লোকমান শিকার করার পরেও আর কিভাবে প্রমাণ হবে তিনি অপরাধী সে প্রশ্ন থেকেই যায়?
এখন আশরাফুল ভক্তদের মনে প্রশ্ন জাগে বিসিবির এমন দ্বিমুখী আচরনের। কেন আশরাফুলের সাথে বিমাতা সুলভ আচরন আর লোকমানের বেলায় ভাইয়ের মতো! তবে ভক্তদের এ প্রশ্নের জবাব হয়ত খোদ বিসিবি সভাপতিও দিতে পারবেন না।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন