সাদা পোশাকের টেস্ট ক্রিকেটে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো রয়েছেন স্টিভ স্মিথ কিংবা কেন উইলিয়ামসনরা। কিন্তু যখন রঙিন পোশাকের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আসা হয়, তখন বর্তমান সময়ে এক ও অবিসংবাদিতই বলা চলে ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস বিরাট কোহলিকে।
যার উদাহরণ তিনি দিলেন আরও একবার, ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে রান করাটা তার কাছে যেনো মামুলি ব্যাপার। প্যাভিলিয়ন থেকে উইকেটে আসার সময়ই যেনো সঙ্গে করে নিয়ে আসেন ৪০-৫০ রান, যার পূর্ণতা তিনি দেন নিজের ব্যাটের মাধ্যমে।
বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে ভারত। আগে ব্যাট করে কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে বিরাট কোহলির অপরাজিত ফিফটিতে ১ ওভার আগেই লক্ষ্যে পৌঁছেছে ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান। তবে চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩৩ রানের মাথায় ১২ রান করে ফিরে যান রোহিত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ধাওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক কোহলি।
ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও ৪০ রানে আউট হন ধাওয়ান। কিছু করতে পারেননি রিশাভ পান্তও (৫ বলে ৪)। তবে এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রানের জুটিতে জয় পায় ভারত। যেখানে আইয়ারের অবদান মাত্র ১৬ রান।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি করে ৫২ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে ৩০ ইনিংসে ১৫তম ফিফটি এটি তার। এছাড়া সফল রান তাড়ার ২৩ ইনিংসে ১২তম ফিফটি করে ম্যাচসেরার পুরষ্কারও জেতেন কোহলি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কক ও বাভুমার ৫৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি সম্ভাবনা জাগিয়েছিল বড় সংগ্রহের। কিন্তু কক ৫১ ও বাভুমা ৪৯ রান করে আউট হলে পরের ব্যাটসম্যানরা পারেননি প্রত্যাশামাফিক রান করতে। যে কারণে ১৪৯ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে আগামী রোববার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন