বিপিএলে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপার্সন নাফিসা কামাল বলেছেন, সাত বছর আমরা বিপিএলে খেলে যাচ্ছি। আমরা পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। আমি মালিক হিসেবে সবচেয়ে পুরনো। সিলেটের সাথে ছিলাম। অথচ এখন পর্যন্ত ব্রেক ইভেনে আসতে পারিনি।
তিনি বলেন, বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য মোটেই লাভজনক নয়। রীতিমতো ‘লস প্রজেক্ট’।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিসিবির এক তলার লাউঞ্জে বিবিএলর লভ্যাংশ বণ্টন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাফিসা কামাল বলেন, কোন ফ্র্যাঞ্চাইজিই ব্রেক ইভেনে আসতে পারেনি। এটা আমাদের সবার জন্য লস প্রজেক্ট। আমি চিন্তা করছি, আগামী বছর বিপিএলে থাকব কি না। এই অবস্থায় শুধুই লাভবান হচ্ছে বিসিবি। অবশ্যই আমরা তার অংশ হতে চাইব। আমরা অনেক বড় একটি স্টেকহোল্ডার। এখানে পুরোপুরি ওয়ান সাইডেড টুর্নামেন্ট হচ্ছে। আমরা কিছুই পাচ্ছি না, শুধু দিয়েই যাচ্ছি।
তিনি বলেন, রেভিনিউ শেয়ারিং মানে আমরা বলছি না সব টাকা আমাদের দিয়ে দিতে হবে। আমরা বলছি পারশিয়ালি গ্রাউন্ড রাইটস বা টিকিট রাইটস আমাদের অংশীদার করতে হবে। কীভাবে বিক্রি করব সেটা আমাদের দায়িত্ব।
এদিকে, আলোচনা-বৈঠক যাই বলা হোক না কেন, বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সাথে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আনুষ্ঠানিক কথোপকথন যতটা উত্তাপ ছড়াবে বলে ভাবা হচ্ছিল, তা ছড়ায়নি। অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ঘুরে ফিরে আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটারের কথাই বলেছেন বেশি।
তারা অন্তত একজন করে আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার আগে থেকে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ করে দেয়ার দাবি তোলেন। পাশাপাশি অন্তত দুজন বিদেশি ক্রিকেটার আগে থেকে দলে রাখার নিশ্চয়তাও চেয়েছেন। এর বাইরে বিপিএলের লভ্যাংশ বণ্টনের কথাও উঠেছে বেশ জোরেসোরে।
খুলনা টাইটান্স, রংপুর রাইডার্স আর রাজশাহী কিংসের ফ্র্যাঞ্চইজিরা বরং অন্তত একজন করে আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটারের পাশাপাশি দুজন বিদেশি ক্রিকেটারকে আগেভাগে দলে ভেড়ানোর বিষয়েও জোরালো দাবি তোলেন। পাশাপাশি তারা বিপিএলের লভ্যাংশ বণ্টনের দাবিও উত্থাপিত হয়েছে। অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজিরা লভ্যাংশ চাইলে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাড়ানোর কথা বলেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন