বাংলাদেশের প্রথম নির্ভরতার প্রতীক। ব্যাট হাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। তিনি আর কেউ নন হাবিবুল বাশার সুমন, কিংবা কাছের মানুষগুলোর কাছে প্রিয় ‘সুমন ভাই’। তার ক্রিকেটার হয়ে ওঠা ও পারিবারিক জীবনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলছেন যুগান্তরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্পোর্টস রিপোর্টার আল-মামুন
যুগান্তর: আপনার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প বলুন।
হাবিবুল বাশার সুমন: আমি আসলে খেলতে খেলতে ক্রিকেটার হয়ে গেছি। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন সব খেলাই খেলতাম। তাছাড়া তখন সিজনাল খেলা ছিল, শীতকালে ক্রিকেট খেলতাম। সবই খেলতাম। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় আব্বা তখন মাদারীপুরে বদলি হয়ে যান।
তখন ঢাকা থেকে মোরশেদুল আহমেদ মন্টু নামে একজন কোচ গেছেন মাদারীপুরে ক্রিকেট কোচিং করার জন্য। ওনার অধীনে ক্যাম্পে যোগ দেয়ার পর উনি বলেছিলেন, তুমি ক্রিকেটটা খুব ভালো খেলো। তখন ঢাকায় নির্মাণ স্কুল একাদশ একটা টিম হয়েছিল। যদিও আমার নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট টিমে খেলা হয়নি, তবে নির্মাণ স্কুলের ক্রিকেটারদের নিয়ে একটা টিম হইত ঢাকাতে। তখন মন্টু স্যার বলেছিলেন, তুমি এসএসপি পাস করে ঢাকায় চলে এসো।
এই নির্মাণ স্কুলের ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত টিমে সুযোগ পাওয়াটাই আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন। তারপর থেকেই আমি ক্রিকেট খেলা পুরোদমে শুরু করি। নির্মাণ স্কুলের সেই দলে সুযোগ না পেলে আমি হয়তো ক্রিকেটার হতে পারতাম না।
যুগান্তর: ছোটবেলা কী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: সত্যি কথা বলতে, তখন আসলে স্বপ্ন দেখার মতো তেমন কিছুই ছিল না। তখন টার্গেট ছিল পড়াশোনা করে বড় হওয়ার। তখন পড়তাম, খেলতাম। তেমন কোনো টার্গেট ছিল না।
যুগান্তর: আপনার ভাইয়েরা তো ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফুটবল পরিবারের সদস্য হয়েও আপনি কিভাবে ক্রিকেটার হলেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: আপনারা (সাংবাদিকরা) সবাই জানেন, আমাদের বড় তিন ভাই ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমিও ফুটবল খেলতাম। কিন্তু ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেটাই বেশি ভালো খেলতাম। তাই ক্রিকেটার হয়ে ওঠা।
যুগান্তর: কার অনুপ্রেরণায় মূলত আপনি ক্রিকেটার হয়ে ওঠেছেন বলে মনে করেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: মাদারীপুরে একজন ভদ্রলোক ছিলেন, আমিরুজ্জামান বাবু। উনিই আসলে আমাকে ক্রিকেটে নিয়ে আসেন। উনিই আমাকে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। ১৫ দিনের ক্যাম্প ছিল। ক্যাম্পে খুব ভালো করেছিলাম। তারপর উনি আমাকে এইচএসসি পর্যন্ত দেখাশুনা করেছেন। আমাকে ক্রিকেটার করার জন্য উনিই আমার পেছনে লেগেছিলেন। উনিই আমাকে ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন।
যুগান্তর: ক্রিকেটার না হলে কী হতেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: (হেসে) জানি না ভাই। এসএসসি পাস করার পর থেকে ক্রিকেটই খেলেছি। তখন আসলে ওভাবে চিন্তা করি নাই। ক্রিকেট না খেললে কী হতাম। তবে ক্রিকেটার না হলে পড়াশোনা করে সেটেল হতাম।
যুগান্তর: তখন তো আইডল হিসেবে নেয়ার মতো তেমন কেউ ছিল না, তারপরও কাকে অনুসরণ করতেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: আসলেই তখন আইডল হিসেবে মানার মতো তেমন কেউ ছিলেন না। তখন এত স্পোর্টস চ্যানেল ছিল না। তাছাড়া খেলা দেখারও সুযোগ ছিল না যে, অমুক ক্রিকেটারের মতো হবো। তাছাড়া আমি ঢাকার বাইরে গ্রামে থাকতাম ঢাকায় এসে কারো খেলা দেখারও সুযোগ ছিল না।
তবে আমি যখন ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ বিমানের হয়ে খেলতে ঢাকায় আসি তখন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাইয়ের খেলা ভালো লাগত। আইডল না, ওনার খেলা ভালো লাগত। ওনার খেলার যে ধরণ, ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং খুব ভালো লাগতো।
যুগান্তর: কোন ক্রিকেটারের মতো হতে চাইতেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: তখন আজহার উদ্দিনের মতো হতে চাইতাম। তিনিই আমার ফেভারিট ক্রিকেটার ছিলেন। ইচ্ছা করতাম তার মতো হতে।
যুগান্তর: ক্রিকেটে আপনার হাতেখড়ি কোথায়?
হাবিবুল বাশার সুমন: মাদারীপুরে।
যুগান্তর: কখন মনে হয়েছিল যে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়?
হাবিবুল বাশার সুমন: এসএসসি পাস করে যখন ঢাকায় এসে ১৯৮৯ সালে খেলা শুরু করি। দুই বছর নির্মাণ স্কুলে খেলার পর ১৯৯১ সালে বিমানে ঢুকি। ১৯৯৭ সালের দিকে ক্রিকেটটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। তার আগে ক্রিকেট খেলাটা ছিল সিজনাল খেলা। খেলতাম। বড় দলে খেললে ভালো একটা পেমেন্ট পাবো, ওই টাকা দিয়ে কিছু একটা করব। এরকম ব্যাপার ছিলে।
ক্রিকেট সারা বছর খেলব, এটা আমার পেশা হবে, এটার ওপর আমার জীবিকার নির্বাহ করবো-এমনটা তখনও ভাবিনি। এমন ভাবনা শুরু হয় ২০০০ সালের পর থেকে।
যুগান্তর: আপনার খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা স্মৃতি কোনটি?
হাবিবুল বাশার সুমন: সেরা স্মৃতি আসলে অনেক আছে। যখন প্রথম ঢাকায় খেলতে আসলাম, তখন নির্মাণ স্কুলে অনেক ক্রিকেটার ছিল। ১৯৯১ সালে বিমানে খেললাম, অনেক মজা করা ওই সময়ের স্মৃতিগুলো এখনও মনে আছে। তবে অবশ্যই প্রথম টেস্ট খেলা, প্রথম জয় আসলেই স্মৃতিময়। অস্ট্রেলিয়া সঙ্গে ম্যাচ জয়, কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচ জয়ের স্মৃতিটা ভুলার নয়। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ জয়ের স্মৃতি এখনও মনে গেঁথে আছে। এছাড়াও ভারতকে বাংলাদেশের মাঠে হারানোর মতো অনেক স্মৃতিই আমার কাছে সেরা।
যুগান্তর: আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
হাবিবুল বাশার সুমন: আমরা ছয় ভাই, দুই বোনের বড় ফ্যামিলি। ভাইয়েরা সবাই খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমি সবার ছোট, আমার পর একটা ছোট বোন আছে। সাংসারিক জীবনে আমার দুই ছেলে আছে। ছেলেদের নিয়ে ঢাকায় থাকি। আর কুষ্টিয়ায় আমাদের যৌথ ফ্যামিলি আছে। কুষ্টিয়াতে আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকি।
যুগান্তর: সন্তানদের নিয়ে আপনার স্বপ্ন?
হাবিবুল বাশার সুমন: বড় ছেলেটা এবার ও লেভেল দিচ্ছে। ওর আর খেলাধুলার সম্ভাবনা নেই। ও আসলে খেলাধুলা করেনি। খেলতে বললে ও বলে, আমি আসলে ওকে সেভাবে সময় দিতে পারিনি। তাছাড়া ওর খেলার প্রতি এখন এত আগ্রহ নেই। প্রথম দিকে অবশ্য আগ্রহ ছিল। পরে খেলতে চায়নি। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন খেলছো না? ও বলেছে, ‘ভালো খেললে সবাই ভালো বলে। কিন্তু খারাপ খেললে সবাই বলে হাবিবুল বাশারের ছেলে খারাপ খেলে।’এ জিনিসটা তার মাথায় ঢুকে যাওয়ার পর খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ চলে যায়। আর ছোট ছেলেটা কেজিতে পড়ে। দেখা যাক ওকে খেলোয়াড় হিসেবে তৈরি করা যায় কিনা। আর আমি কখনও ওদের প্রতি জোর করি নাই। ওদের যেটা ভালো লাগছে সেটাই করছে।
যুগান্তর: আপনার ক্যারিয়ারে অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ইনিংস আছে। এর মধ্য থেকে কোনটাকে সেরা ইনিংস মনে করেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হারারে স্টেডিয়ামে একটা ভালো ইনিংস খেলেছিলাম। আর দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে একটা ভালো ইনিংস আছে।
যুগান্তর: আপনার এত সাফল্যের নেপথ্যে কোন জিনিসটা আপনাকে সহায়তা করেছে বলে মনে করেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: আসলে আমি ক্রিকেটের প্রতি সৎ ছিলাম। যখনই খেলেছি সততা ছিল আমার মধ্যে। আমি সবসময় ক্রিকেটে কিছু দিতে চেষ্টা করেছি। কখনও ফাঁকি দেয়ার মানসিকতা আমার মধ্যে ছিল না। হয়তো সেই সততার কারণেই আমি সফল হয়েছি।
যুগান্তর: আপনার দেখা সেরা ক্রিকেটার কে?
হাবিবুল বাশার সুমন: অনেকেই আছেন। তবে আমার কাছে সেরা ব্রায়ান লারা। তার ব্যাটিং ভালো লাগতো। দেশে এখন অনেকে আছে।
যুগান্তর: তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারের প্রতি আপনার বক্তব্য ও পরামর্শ কী?
হাবিবুল বাশার সুমন: এখন আসলে ক্রিকেট খেলা অনেক টাফ। যেহেতু সবাই ক্রিকেটটাকে পেশা হিসেবে নেয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি। তাছাড়া বাড়তি আয়ও বেশি। ক্রিকেট খেললে অন্য কোনো চিন্তা করা লাগে না। আমার মনে হয় এখন ক্রিকেট খেলেই জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব। এর পেছনে সময় বেশি দিতে হবে। সৎ থাকতে হবে। অনেক প্রলোভন থাকবে। এগুলো ধরে রাখতে পারলে সফল হওয়া যাবে। এখানে প্রাপ্তিও অনেক আর ধরে রাখাও টাফ।
যুগান্তর: যেহেতু প্রলোভনের কথা বলছেন, সেহেতু একটা বিষয় সামনে আনতে চাই। আপনার সময়কার ক্রিকেটারদের তেমন কোনো নেতিবাচক দিক নেই। কিন্তু এই প্রজন্মের কিছু ক্রিকেটারের আচরণগত সমস্যার কারণে দেশের ক্রিকেটের সম্মানহানি হয়েছে। এ থেকে বাঁচার কী পন্থা আছে?
হাবিবুল বাশার সুমন: এটা প্রত্যেক ক্রিকেটারের নিজস্ব ব্যাপার। এখানে কাউন্সিলিং করেও লাভ নেই। এ কারণে অনেক তারকা ক্রিকেটার হারিয়ে গেছে। যার হয়েছে সেই সাফার করেছে, তার জন্য টিমের তেমন কিছু হয়নি। যে করেছে সে নিজেই ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে।
যুগান্তর: আপনাদের সময়কার ক্রিকেট ও বর্তমান সময়ের ক্রিকেটের মধ্যে তুলনা করুন।
হাবিবুল বাশার সুমন: আসলে সেই সময় ক্রিকেট খেলা অনেক টাফ ছিল। আমাদের চেয়ে অন্যদলগুলো অনেক অভিজ্ঞ ছিল। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ ছিল না। অভিজ্ঞতার বড় ব্যবধান ছিল। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ওদের অনেক ধারণা ছিল। তখন আমরা মাত্র শুরু করেছিলাম। তবে আমাদের উন্নতি অনেক স্লো ছিল। তবে উন্নতি হয়েছে। এখন কিন্তু আমরা ভালো করছি।
যুগান্তর: ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর উইকেটে নেমে আপনি বিশ্বের নামকরা বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে লড়াই করেছেন। এ নিয়ে কিছু বলুন।
হাবিবুল বাশার: আসলে এটা ম্যান টু ম্যান ভেরি করে। এটার বিশ্লেষণ করা কঠিন। এটা কোচিং করেও পাওয়া যায় না; নিজে ক্রিকেটের প্রতে নিবেদিত না হলে। এখনও যারা ভালো খেলেন, তারা পরিশ্রম করছেন বলেই সফল হচ্ছেন।
যুগান্তর: আপনার সময়ে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকের মতো বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার উঠে এসেছে। ব্যক্তি হিসেব তাদের নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
হাবিবুল বাশার সুমন: ওরা যখন শুরু করেছে, তখন ওদের আমি দেখতে চেয়েছি সেখানেই ওরা পৌঁছে গেছে। তামিম, সাকিব, মুশফিক ওদের দেখেই মনে হয়েছে ওরা একদিন বড় মানের ক্রিকেটার হবে। সেটা ওরা প্রমাণ করেছে। আমার বিশ্বাস ছিল ওরা সারা বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হবে। ওরা সেই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে বলে আমি খুশি।
যুগান্তর: আলাদাভাবে যদি মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে কিছু বলেন।
হাবিবুল বাশার সুমন: মাশরাফি তো আসলে সবার জন্যই একটা উদাহরণ সেট করেছে। এটা বিশ্বের সবার জন্য। ক্রিকেটের প্রতি ওর নিবেদন অন্যরকম। এতগুলো অস্ত্রোপচারের পরও মাশরাফি যেভাবে ক্রিকেট খেলছে সত্যি অসাধারণ। মাশরাফি বলেই এটা পেরেছে। অন্য কেউ হলে আগেই ছিটকে যেতো। এক কথায় অবিশ্বাস্য। ও এখন অনুকরণীয়।
যুগান্তর: লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের ওপেনিংয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তামিম। তাকে নিয়ে কিছু বলুন।
হাবিবুল বাশার সুমন: তামিম এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। আসলে তামিম এককভাবে শুরু করেছিল। দিনে দিনে সে পরিণত হয়েছে। এখন সে বিশ্বমানের একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে সেট করেছে। বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে অসাধারণ ব্যাটিং করছে। এখন যদি বিশ্বের কয়েকজন ব্যাটসম্যানের নাম বলা হয় তার মধ্যে তামিম ইকবালের নাম আসবে। তামিম যখন শুরু করেছিল তখন কেউ চিন্তাই করতে পারেনি ও এ পর্যন্ত আসবে।
যুগান্তর: আপনার দৃষ্টিতে কোন কোন খেলোয়াড় নিজেদের প্রতিভা যথাযথ কাজে লাগাতে পারেননি, হারিয়ে গেছেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত, মেহরাব হোসেন অপি। এদের অনেক বেশি প্রতিভা ছিলো কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি।
যুগান্তর: জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেন?
হাবিবুল বাশার সুমন: দলের যেটা প্রয়োজন।
যুগান্তর: বিশ্বকাপের দলগুলো নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
হাবিবুল বাশার সুমন: বিশ্বকাপে প্রতিটি দলই ভালো মানের। ভালো বলেই তো তারা বিশ্বকাপে এসেছে। ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে।
যুগান্তর: এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কারা খেলতে পারে?
হাবিবুল বাশার সুমন: এটা আসলে বলা মুশকিল। তবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা বেশি।
যুগান্তর: যুগান্তরকে সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হাবিবুল বাশার সুমন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার মাধ্যমে যুগান্তরের পাঠক ও দেশের সব মানুষদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন