আবারও বাংলাদেশ দলে উপেক্ষিত থেকে গেলেন ইমরুল কায়েস। এবার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো এই ওপেনারের। ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলা এই তারকার অভিজ্ঞতাও মূল্যায়িত হয়নি বিশ্বকাপ স্কোয়াড নির্বাচনে। ইমরুলের বাদ পড়া নিয়ে তাই চলছে বিতর্ক। অভিজ্ঞ এই ওপেনার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশার কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।
গেল অক্টোবরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ খেলেন ইমরুল কায়েস। তিন ওয়ানডেতে তার ইনিংসগুলো ছিল এমন- ১৪৪, ৯০ ও ১১৫। তার আগে এশিয়া কাপের মাঝ পথে দলে সুযোগ পেয়ে মিডল অর্ডারে নেমে দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন।
কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খারাপ যেতেই ইমরুলকে ছেঁটে ফেলা হয় দল থেকে। নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট বা ওয়ানডে কোনো দলেই তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপেও নেই ইমরুল।
অবশ্য ইমরুল যে থাকছেন না সে আভাস আগেই মিলেছিল। বিসিবি সভাপতি কিছুদিন আগে যখন সম্ভাব্য স্কোয়াডের কথা জানান সেখানে, ইমরুলের চেয়ে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার সেরা পছন্দ হিসেবে উল্লেখ করেন।
কিন্তু লিটন দাস ও সৌম্য সরকার দুজনেরই ধারাবাহিকতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কিন্তু সেই জায়গাটায় যেন ইমরুল একটু হতভাগাই। ভালো খেলেও যে সুযোগ মেলে না তার। এবারের প্রিমিয়ার লিগে খুব ভালো ছন্দে না থাকলেও শক্তিশালী আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি।
দেশ রূপান্তরের সঙ্গে আলাপকালে ইমরুলের জন্য তাই সমবেদনা থাকল ফারুক আহমেদের। বিসিবির নির্বাচক কমিটির সাবেক প্রধান বলছেন, ‘‘ইমরুল কায়েসকে নিয়ে তো আমি সব সময় বলি। ওর মতো পারফরমার, ও একটা দুইটা ম্যাচ খারাপ খেললে চান্স পায় না। আবার হঠাৎ চান্স এসে যায়…।’’
বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে বিসিসি। তবে এই স্কোয়াডেও থাকছে একটা কিন্তু। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে স্কোয়াড ঘোষণা করার জন্য আইসিসির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে চাইলে ২৩ মে পর্যন্ত টিমে বদল আনারও সুযোগ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ড সেই সুযোগটা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার মানে এই টিমটাকে এখনই চূড়ান্ত বিশ্বকাপ স্কোয়াড বলা যায় না এক অর্থে। সোমবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আয়ারল্যান্ডে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিবেচনার কথাও বলেছেন।
আর এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন ফারুক আহমেদ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক বলছেন, ‘‘বিশ্বকাপের দল এখনো আন শিওর কেন, একাটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। আমরা তো দুই টার্ম বিশ্বকাপ স্কোয়াড বানিয়েছিলাম (২০০৭ ও ২০১৫)। ছয় মাস আগে থেকেই প্ল্যান করতাম, কারা কারা যেতে পারে বিশ্বকাপে। তার মধ্যে ইনজুরি, ফর্ম এগুলো অবশ্যই থাকবে। ফর্ম খারাপ হলে সাকিব আর তামিমকে তো আমরা বাদ দিয়ে দেব না।’’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন