জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজার রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই আবেদনে খালেদা জিয়ার জামিনও চাওয়া হয়েছে।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৃহস্পতিবার ১৭৭ পৃষ্ঠার রায়সহ প্রায় তিনশ’ পৃষ্ঠার লিভ টু আপিলটি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজার রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই আবেদনে খালেদা জিয়ার জামিনও চাওয়া হয়েছে। আপিলে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের শুনানির সুযোগ না দিয়ে হাইকোর্ট একতরফাভাবে রায় দিয়েছেন, যা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।
আগামী অবকাশকালীন ছুটি শেষে শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে। আরেক আইনজীবী ফারুক হোসেন বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে সাজানো মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। আশা করি, তিনি আপিলে খালাস পাবেন।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে দেন। এ ছাড়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলও খারিজ করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি (ক্রিমিনাল মিসেলেনিয়াস পিটিশন) ফাইল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
সম্প্রতি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এ মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত।
রায় ঘোষণার পর তাকে ওইদিন বিকালেই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিনজন পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া কারাবন্দি দু’জন হলেন- কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন