সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। এই সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিবেন নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অন্যদিকে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে থাকায় এই সিরিজে টেস্টে টাইগারদের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করার আগে অনেকবার ভেবেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ বিসিবির কাছে অধিনায়ক হিসাবে মুশফিকুর রহিমও ভালো অপশন ছিলেন। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অধিনায়ক হিসাবে মুশফিকুর রহিমের নামই প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বিসিবি সভাপতি মুশফিকুর রহিমকে অধিনায়ক না করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করার অনুমতি দেন।
এ ব্যাপারে নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের হাতে দুইটি অপশন ছিল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিক খারাপ অপশন ছিল না। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি আমার কাছে মুশফিকের নাম নিয়ে এসেছিল। তখন আমি তাদের বলেছিলাম, মুশফিককে যদি অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে তাকে অধিনায়কই রাখতে হবে’।
তিনি আরো বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে আপনি মুশফিককে অধিনায়ক করবেন আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে যদি সাকিব ফেরে তখন কি করবেন? মুশফিককে অধিনায়কত্ব ছাড়তে বলবেন? এমন করলে মুশফিককে অপমান করা হবে। আমি এমনটি হতে দিতে পারি না’।
মুশফিকুর রহিম এর আগে তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। অধিনায়ক হিসাবে তিনি সফল। তার অধিনায়কত্বে টেস্টে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রানার্স আপ হয়েছিল।
২০১৪ সালে মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে অধিনায়ক করা হয়। তাকে শুধু টেস্টে অধিনায়ক করা হয়। গত ডিসেম্বরে মুশফিকুর রহিমকে টেস্টের অধিনায়ক পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়। এই ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় সাকিব আল হাসানকে।
মুশফিককে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়াটা বিসিবি সভাপতির জন্য ছিল সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘মুশফিকুর রহিমকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়াটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। সাকিব আল হাসানকে শাস্তি দেয়াটাও আমাদের জীবনের আরেকটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। এর চেয়ে কঠিন আর কিছু হতে পারে না। কারণ মুশফিক ছিল আমাদের সফল অধিনায়ক’।
আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর চট্টগ্রামে ২৪ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। সিলেটে ৩ নভেম্বর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। আর ১১ নভেম্বর মিরপুরে শুরু হবে সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন