যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণের পর তার মুখ বন্ধ করতে বিপুল অংকের অর্থের বিনিময়ে গোপন চুক্তি করেছিলেন বলে যে অভিযোগ, সেই চুক্তিপত্র ‘সম্পূর্ণ জাল’ বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী।
অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে আসছেন ৩৩ বছরের ক্রিস্টিয়ানে রোনালদো।
ধর্ষণের অভিযোগের সপক্ষে যেসব প্রমাণ দেখানো হচ্ছে সেগুলো বানানো বলেও দাবি রোনালদোর, লাস ভেগাসে তখন যা হয়েছিল সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। সেখানে যা হয়েছে তা সম্মতিতেই হয়েছে।
মডেল মায়োরগার দাবি, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাকে নিয়ে যান রোনালদো। তিনি যখন পোশাক বদলাচ্ছিলেন তখন পিছন থেকে হঠাৎ জাপটে ধরেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। তিনি বারবার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও জোর করে সঙ্গম করেন সিআর সেভেন।
পুলিশে অভিযোগ করলেও তদন্ত না করে ২০১০ সালে আদালতের বাইরে তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলারে সেটি মীমাংসা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পর্তুগিজ তারকার আইনজীবী পিটার ক্রিস্টিয়ানসেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শিষ্টাচারবহির্ভূত এমন কার্যকলাপের অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করেছেন রোনালদো।
জার্মান পত্রিকা ডার স্পিগেল প্রথম সামনে আনে ধর্ষণের ঘটনা। তারপরই ‘ভুয়া সংবাদ’ বলে সেটি উড়িয়ে দিয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা। তখন পত্রিকাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান।
এরপরও জার্মান পত্রিকাটি ধর্ষণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে আসছে। এখন রোনালদোর পক্ষ থেকে ঘটনা স্বীকার করে নেয়া হল পরোক্ষভাবে।
যদিও ঘটনার সপক্ষে দায়ের করা নথিপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোনালদো। সেই চুক্তির বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, একটি গণমাধ্যম দায়িত্বহীনভাবে এমনসব তথ্য প্রকাশ করে যাচ্ছে, যা চুরিকৃত এবং ডিজিটাল উপায়ে সহজেই তৈরিকৃত নথির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার গুরুত্বপূর্ণ অংশই পরিবর্তিত বা সম্পূর্ণ তৈরিকৃত।
আইনজীবী বলছেন, রোনালদো চুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তবে যেসব কারণ এর পেছনে বলা হচ্ছে তা অন্তত বিকৃত। চুক্তির অর্থ এই নয় যে তিনি দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন