বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে দারুণ আগ্রহ ছিল দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। গ্যালারির ৯০ ভাগ ছিল বাংলাদেশি সমর্থকদের দখলে। ম্যাচ হয় সাড়ে তিনটায়, অথচ বেলা ১১টা থেকেই স্টেডিয়াম এলাকায় জড় হতে থাকে সমর্থকরা। মাঠে ও মাঠের বাইরে বাংলাদেশি সমর্খকদের মধ্যে ওই দিন উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
বাংলাদেশ- ভারত ম্যাচ আজ। এ দিন তো আরও উন্মাদনা থাকার কথা। কিন্তু দূপুর পৌনে একটার দিকে যখন স্টেডিয়ামে আসি তখন আশেপাশে তেমন কোনো উন্মাদনা চোখে পড়লো না। না ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে না বাংলাদেশিদের মধ্যে।
বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা ম্যাচে পুরো গ্যালারি ভরে গিয়েছিল দর্শকে। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, গ্যালারি অকেটা খালিই পড়ে থাকবে। এ লেখা যখন লিখছি তখন ম্যাচ শুরু হতে প্রায় ঘন্টা খানেক বাকি। এখন পর্যন্ত হাজার তিনেক দর্শক এসেছেন। অবশ্য এখনও সময় আছে, দুপুরে প্রচণ্ড রোদ, বাইরে বের হওয়া কঠিন। দুবাইয়ে আজ ছুটির দিন। জুম্মার দিন। একটু দেরি করেই হয়তো বের হচ্ছেন অনেকে।
মাঠে দর্শক কম হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আজ যে বাংলাদেশের ম্যাচ তা অনেকেই জানেন না। সবাই কাজে ব্যস্ত। সূচি নির্ধারিত হয়েছে হুট করে। কেউ গতকাল রাতে জেনেছেন। কেউবা আজ সকালে। এ কারণে ম্যাচ দেখার প্রস্তুতি নিতে পারেননি।দেরিতে জানার ফলে টিকিটও সংগ্রহ করকে পারেননি।
স্টেডিয়াম এসে খেলা দেখাও সহজ নয় অনেকের জন্য। দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়াম শহরের ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সব দিক থেকে এখানে বাসে আসার সুযোগ নেই। বেশিরভাগ দর্শককে খেলা দেখতে গাড়ি বা ট্যাক্সির উপর নির্ভর করতে হয়। ট্যাক্সি সব দেশেই ব্যয়বহুল তবে দুবাইয়ে আরেকটু বেশিই মনে হচ্ছে। টিকিট, যাতায়াত খরচ, মাঝখানে খাওয়া দাওয়ার খরচ- সব মিলে একটা ম্যাচ দেখতে কম কর হলেও একজন দর্শককে অন্তত দেড়শ দিরহাম খরচ করতে হয়। যা অনেকের জন্যই কঠিন।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন