ক্রিকেট খেলে অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি-সবই কামিয়েছেন। অমিয় প্রতিভার মাধ্যমে ক্রিকেট সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দেশ আফগানিস্তানকেও। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটের সুউচ্চ শিখরের দিকে। তবে শুধু দেশকে ক্রিকেট-সেবা দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চান রশিদ খান। আফগানিস্তানের তারকা লেগস্পিনার দেশবাসীর সেবা করতে চান আর্থিকভাবেও। আর মহতী এই উদ্দেশ্যে প্রথমেই তিনি হাত বাড়ালেন দেশের এতিম শিশুদের দিকে। এতিমদের সাহায্য করতে তিনি খুলে বসলেন দাতব্য সংস্থা।
নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির নাম দিয়েছেন ‘রশিদ খান চ্যারিটি অর্গানাইজেশন।’ প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক লক্ষ্য দেশের অন্তত ৫০০ এতিম শিশুকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। মানে এতিমদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলাই তার প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। শিক্ষা লাভে সহযোগিতা করার পাশাপাশি এতিমদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং স্বাস্থ্য সেবাও দেবে রশিদ খানের প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি গড়তে পেরে উচ্ছ্বসিত ১৯ বছর বয়সী তরুণ। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজেই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে লিখেছেন, ‘সম্মানিত আফগান জনগণ, আপনাদের দোয়া ও শুভকামনায় আমি আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের মানুষদের জন্য আরেকটি ভালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। রশিদ খান চ্যারিটি অর্গানাইজেশন নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান খুলেছি।’
মাত্র ১৯ বছর বয়সেই নিজেকে বিশ্বসেরা স্পিনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা রশিদ খান মনে করেন, দেশবাসীর ভালোবাসাতেই তিনি রশিদ খান হতে পেরেছেন। এখন তাই সময় দেশের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।
মহতী এই উদ্যোগের জন্য রশিদ খানকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসাচ্ছেন আফগানরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বানের জলের মতো ভেসে আসছে অভিনন্দন বার্তা।
উল্লেখ্য, রশিদ খানের আগে আফগানিস্তানের আরেক ক্রিকেটার করিম সাদিকও দেশবাসীর সেবায় একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান খুলেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন