বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মাথায় ছাতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হন ভ্লাদিমির পুতিন। এই নিয়ে টুইটারে একের পর এক কমেন্ট পোস্ট হতে থাকে। ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে এই ছাতা বিতর্কের সমাপ্তি হতে না হতেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে এবার পেতে হলো চোরের অপবাদ। ফিফার মেডেল চুরির অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।
আসলে ঘটনার সূত্রপাত একটি টেলিভিশন ফুটেজকে ঘিরে। যেখানে পুতিনের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাকে দেখা যায় ব্লেজারের পকেটে মেডেল পুরে রাখতে। এই ফুটেজই এরপর স্লো-মোশন করে ছড়িয়ে দেয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুতিনকে অনেকে চোরও বলতে থাকেন। কারণ, পকেটে মেডেল পোরার সময় ওই মহিলাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কানে কানে কিছু বলতে দেখা গিয়েছিল।
ঘটনার সময় প্রবল বৃষ্টি পড়ছিল লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে বৃষ্টির মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্রাবার, ফিফার প্রেসিডেন্ট ইনফান্তেনিও-সহ বহু ফিফা অফিসিয়াল ও স্পনসর সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা। সবাই বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে গিয়েছিলেন।
এহেন পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের কানে কানে ফিফার মহিলা অফিসিয়ালের কথা নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলতে থাকেন। এই মন্তব্যেই পুতিনের বিরুদ্ধে কেউ কেউ মেডেল চুরির অপবাদ আনে।
যদিও, ফিফা সূত্রে খবর, পুরস্কার বিতরণে অতিরিক্তি মেডেল সব সময়ই রাখা হয়। রোববার ফাইনাল ম্যাচ শেষে মেডেল বিতরণ শেষ হতে চললেও বহু মেডেলে বাইরে বেরিয়ে ছিল। এই অতিরিক্ত মেডেল যাতে নিরাপদে থাকে সেই কারণে ওই মহিলা তা পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন।
ফিফা সূত্রে খবর, বহু সময় অনেক দলই ২২ জনের স্কোয়াডের বাইরেও মেডেলের সুপারিশ করে। কারণ, তারা এমন কিছু জনকে মেডেল দিতে চায় যারা বিশ্বকাপে হয়তো ২২ জনের স্কোয়াডে ছিলেন না কিন্তু বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দলের সদস্য ছিলেন। ফিফার নিয়মেও এমন সদস্যদের মেডেল দেয়ার চল রয়েছে। সেই কারণে সবসময়ই অতিরিক্ত মেডেলের ব্যবস্থা রাখা হয় ফিফার পক্ষ থেকে। যদিও এই টেলিভিশন ফুটেজ নিয়ে ফিফা এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন