উইন্ডিজ সফরের শুরুতেই লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখাল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর, ৪৩ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারীরা। একবিংশ শতাব্দীতে টেস্টে এটিই সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড।
অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন স্বাগতিক পেসার মিলে দখলে নেন বাংলাদেশের ১০ উইকেট।
কেমার রোচ শুরুর পাঁচ উইকেট তুলে নেয়ার পর কামিন্স দুটি ও শেষে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার তিন উইকেট নিলে ১৮.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল লিটন দাস (২৫)।
সাদা পোশাকে আবারও অধিনায়কত্বে ফেরা সাকিব আল হাসান ও নতুন কোচ স্টিভ রোডসের শুরুর অভিজ্ঞতা হয়ে রইল তাই খুবই বাজে।
বাংলাদেশের আগের সর্বনিম্ন রানের ইনিংসটি ছিল ৬২। ২০০৭ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছিল সেটি।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড অবশ্য নিউজিল্যান্ডের। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা অলআউট হয় ২৬ রানে। বিংশ শতাব্দীতে পঞ্চাশের আগে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনা রয়েছে বেশ কটি। তবে একবিংশ শতাব্দীতে টেস্টে এটিই (৪৩) সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। আগের রেকর্টি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৪ সালে নিজেদের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা অলআউট হয় ৪৭ রানে।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার আশরাফুলের(৬১ টেস্ট) রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে দ্রুতই ক্রিজের দিকে হাঁটতে হয় মুশফিকুর রহিমকে। ২২ গজে থাকাও হয়নি বেশিক্ষণ। কেমার রোচের তোপে আসলে টিকে থাকতে পারেনি পুরো টপঅর্ডারই।
স্কোরবোর্ডে ১৮ রান উঠতেই বাংলাদেশের ৫ জন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। পরে খানিকক্ষণ টিকে থাকার পরীক্ষা দিয়ে ফিরে গেছেন লিটনও। দ্রুতই তাকে অনুসরণ করেন সোহান। তারপর গুটিয়ে যাওয়া!
শুরুতে ১৬ রানে মধ্যে তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের উইকেট হারিয়ে বসা দলকে উদ্ধারের দায়িত্ব পড়েছির মুশফিকের কাঁধে। ব্যক্তিগত মাইলফলকের ম্যাচে উল্টো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আউট হয়ে বাংলাদেশকে ফেলে দেন চাপে।
সেই চাপ উতরে দিতে ব্যর্থ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন সাকিব, সেটিও রানের খাতা খোলার আগেই। কেমার রোচের ওই ওভারে উইকেট পড়ে তিনটি।
বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন ডানহাতি ফাস্ট বোলার রোচ। শুরুতে তামিম ৫, মুমিনুল ১ রানে ফেরেন। সাকিব-রিয়াদের মতো রানের খাতা খুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও।
একপাশ আগলে রাখা লিটন ফিরেছেন ২৫ রানে। তাকে ফেরান কামিন্স। পরে সোহানকেও (৪) সাজঘরে পাঠান এ পেসার। মিরাজ ১, রাব্বি ০ ও রাহি ২ রান করে সাজঘরে ফিরলে ৪৩ রানেই থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন