‘ওরা যদি মুসলিম ও উগ্রপন্থীদের আলাদা না করে, তাহলে আমি কেন শ্বেতাঙ্গ এবং বর্ণবাদীদের পৃথক চোখে দেখব’। এগারো বছর আগে এমনই একটি টুইট করেছিলেন। তাতে বিদ্ধ হলেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারের নতুন সিইও পরাগ আগরওয়াল।
সোমবারই ভারতীয় বংশোদ্ভূত টুইটারের সিইও নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁর একটি পুরনো টুইট ভাইরাল হয়ে যায়। ২০১০ সালের ২৬ অক্টোবরের সেই টুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রিপাবলিকান সদস্য কেইন বাক প্রশ্ন করেছেন, এরকম মতামত পোষণ করা টুইটারের সিইওকে কীভাবে মানুষ বিশ্বাস করতে পারবেন? একইসুরে মার্কিন সেনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘এটা হলেন পরাগ আগরওয়াল। যিনি টুইটারের নতুন সিইও এবং যিনি ঠিক করবেন যে টুইটারে কী ধরনের মতের অনুমতি দেওয়া হবে’।
যদিও সেই বিতর্কিত টুইটের কিছুক্ষণ পরেই পরাগ জানিয়েছিলেন, ‘দ্য ডেলি শো’-এর কমেডিয়ান আসিফ মাণ্ডবকে উদ্ধৃত করে টুইট করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সেইসব লোকেদের দেখে বিস্মিত হই, যাঁরা মন্তব্য করার জন্য অন্যদের নিয়ে বিভিন্ন মতামত দিয়ে থাকেন’।
উল্লেখ্য, জ্যাক ডর্সি পদত্যাগ করার পর সোমবার পরাগকে টুইটারের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যিনি এতদিন টুইটারের চিফ টেকনিকাল অফিসার (সিটিও) পদে কর্মরত ছিলেন।
পরাগের লিঙ্কডিন প্রোফাইল অনুযায়ী, মুম্বাইয়ের অ্যাটমিক এনার্জি সেন্ট্রাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে করেছেন বি.টেক। তারপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডক্টরেট করেছেন। তারইমধ্যে ২০০৬ সালের জুনে মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছিলেন। যা চার মাস পরেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
পরের বছর জুনে আবার যোগ দিয়েছিলেন ইয়াহুতে। ১৬ মাস সেখানে কাটিয়ে মাইক্রোসফটে ফিরেছিলেন। সেখানে চার মাস কাজ করে এটি অ্যান্ড টি ল্যাবে যোগদান করছিলেন। সেখানেও চার মাস কাজ করেছিলেন।
২০১১ সালের অক্টোবরে যোগ দেন টুইটারে। প্রাথমিকভাবে ডিস্টিনগুইশড সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ছয় বছর সেই পদে কাজ করেছিলেন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে টুইটারে চিফ টেকনিকাল অফিসারের (সিটিও) গুরুদায়িত্ব পেয়েছিলেন। ডার্সি পদত্যাগের পর সর্বসম্মতভাবে পরাগকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সিইও হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন