চেহারায় কৈশোরের ছাপ স্পষ্ট। অল্প বয়সেই ব্যবহার করতেন দামি ফোন, মোটরসাইকেল। বিলাসবহুল জীবনের যাবতীয় অর্থ আসত ফেসবুক হ্যাকিং থেকে। এক্ষেত্রে টার্গেট করা হতো প্রবাসী নারীদের। ফেসবুক হ্যাক করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে, রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের প্রস্ততির সময় ধরা হয়েছে দুই কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে।
২০ বছর বয়সী সুনামগঞ্জের মামুন মিয়া। কখনও দুলাভাই, মাটির টানে বা কখনও সবুজের প্রাণে; বিভিন্ন নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে গ্রুপ তৈরি করত। সেই লিংক পাঠানো হতো প্রবাসী নারীদের। ফিশিং লিংকে ক্লিক করলেই ফেসবুক ইন্টারফেস আসে। তখন ভুক্তভোগীরা লিংকে প্রবেশ করার জন্য তাদের ফেসবুক আইডি পাসওয়ার্ড দিলে হ্যাকারের কাছে ফেসবুক একাউন্টের আইডি পাসওয়ার্ড চলে যেত।
ফেসবুক আইডি দখলে নিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করত সুমন মিয়া। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগীদের নানা হুমকিও দিত সুমন, ধরতে পারলে ১ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণাও নিজেই দেয় সুমন জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে, ছিনতাইয়ের প্রস্তুতির সময় রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কিশোর গ্যাং এর মূল হোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ইভটিজিং'সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
মতিঝিল এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুটি গ্রুপের ৩২ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চান জাদু গ্রুপের জাদুকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বড় ভাই নেতৃত্ব দিক না কেন তাকে ধরা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন