যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাংকিং বা ভিসার আবেদন, বাসা বা অফিস ভাড়া এমনকি বাচ্চাদের স্কুল ভর্তি করার মতো বিষয়গুলো সহজ করে দেবে।
অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি জানলেও ফ্রিল্যান্সাররা এত দিন তাদের পরিচয় নিয়ে সমস্যায় ছিলেন। বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত পরিচিত কার্ড বা ফ্রিল্যান্সিং আইডি-র মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সার আইডি উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
জানা গেছে, কর্মসংস্থান, উপার্জন বা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাংকিং বা ভিসার আবেদন, বাসা বা অফিস ভাড়া এমনকি বাচ্চাদের স্কুল ভর্তি করার মতো বিষয়গুলো সহজ করে দেবে।
সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইটের মাধ্যমে (www.freelancer.com.bd) দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার আইটি কর্মরত, এখানে রেজিস্ট্রেশন করে পরিচয়পত্র গ্রহণের সুযোগ পাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা দেশের তরুণ প্রজন্মের ওপর আস্থা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আমি জানি আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক মেধাবী। অল্পতেই তারা শিখতে পারে। সরকার হিসেবেই আমাদের কাজ হচ্ছে সেই সুযোগটা সৃষ্টি করে দেওয়া। সেটাই আমরা করে দিচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন “আজকে এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড প্রদানের জন্য একটা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে, যা থেকে সকল ফ্রিল্যান্সার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। এতে ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতি তৈরির পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ পেতে পারবে এবং তাদের ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করতে পারবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ এর ওপর নির্মিত ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সংক্রান্ত পৃথক দুটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক একটি অ্যানিমেটেড ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন পরিবেশিত হয় অনুষ্ঠানে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন