মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের মানসিক দুশ্চিন্তা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
মানসিক দুশ্চিন্তা কী?
মানসিক উৎকণ্ঠা বা দুশ্চিন্তা হচ্ছে মূলত মানসিক চাপ। আমরা সবাই কমবেশি কোনো না কোনো বিষয়ে চিন্তায় থাকি বা মানসিক চাপে থাকি। এগুলো মানুষের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এ রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো ভালো।
তবে কেউ যদি সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন, যা ভয়ের কারণ হয়ে থাকে, তখন সেটিই আসলে মানসিক উৎকণ্টা বা দুশ্চিন্তা। এই সমস্যা এতটাই তীব্র হয়ে উঠতে পারে, যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। যা নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন তৈরি করতে পারে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি হলে ঘুম কম হওয়া, ক্লান্তি লাগা, কাজে মন না বসা, বিষণ্নতা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেয়া, শরীর কাঁপা, ঘাম হওয়া, মাথা ঘোরা, ডায়ারিয়া এবং অসুস্থ করতে পারেন।
মানসিক উৎকণ্টার অনেক রকমের আছে। কারও ক্ষেত্রে এটি হয়তো খুবই মৃদু, কারও ক্ষেত্রে এটি খুবই তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
চাপ থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন-
মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগলে প্রথমেই দুশ্চিন্তামুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব সাইক্রিয়াট্রিস্টসের পরামর্শ হচ্ছে, নিজেকে নিজে সাহায্য করার কিছু কৌশল রয়েছে প্রথমে তা মানতে হবে।
১. কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
২. কোনো সেলফ হেলপ গ্রুপ বা অনলাইন সাপোর্ট গ্রুপে যোগ দেয়া।
৩. রিল্যাক্সেশন বা শারীরিক-মানসিক শিথিলকরণের কৌশল শেখা।
৪. যোগ-ব্যায়াম, শরীরচর্চা, বইপড়া এবং গান শুনতে পারেন।
৫. বিশেষজ্ঞরা বলেন, মদপান এবং ধূমপান বন্ধ করলেও মানসিক উৎকণ্ঠা অনেক কমে যায়।
এর পরও যদি আপনার মানসিক সমস্যা হয়, তবে অবশ্যই মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন