আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সাতজন নারীকে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার সকালে এক টুইটে তিনি নিজেই এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে ওই নারীরা তাদের জীবনযাত্রার কথা শেয়ার করবেন।
টুইটে নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো থেকে বেরিয়ে এসেছেন এবং এগুলো দিয়ে দিচ্ছেন সাত নারীকে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তারা তাদের জীবনযাত্রার কথা শেয়ার করবেন ওই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার টুইট করে সোশ্যাল মিডিয়াকে চমকে দেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি তার টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছেন।
অবশ্য তার এই টুইটের পর থেকে শুরু হয় জল্পনা। এর পরের দিন প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ছেড়ে দেবেন সেই নারীদের, যাদের জীবন ও কাজ তাকে উদ্দীপিত করেছে।
রোববার টুইটে মোদি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা। আমরা আমাদের নারীশক্তির উদ্দীপনা ও সাফল্যকে সালাম জানাই। যেমন ক’দিন আগে বলেছিলাম সেভাবেই আমি সাইন অফ করলাম। সারাদিন ধরে সাতজন নারী অর্জনকারীরা নিজেদের জীবনযাত্রার কথা শেয়ার করবেন ও হয়তো আপনাদের সঙ্গে মতের আদানপ্রদানও করবেন আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘দেশের সব অংশেই অসামান্য সব নারী অর্জনকারী রয়েছেন ভারতে। এই নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করেছেন। তাদের লড়াই ও আকাঙ্ক্ষা লাখ লাখ মানুষকে উদ্দীপিত করছে। আসুন আমরা সেই সব নারীদের সাফল্যকে উদযাপন করি এবং তাদের থেকে শিখি।’
প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডল থেকে প্রথম টুইট করেছেন স্নেহা মোহান্ডোস। তিনি ভারতের ফুড ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা।
টুইট করে স্নেহা বলেন, ‘আপনারা চিন্তার জন্য খাদ্যের কথা শুনেছেন। এবার সময় এসেছে আমাদের দরিদ্রদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। হ্যালো আমি স্নেহা মোহান্ডোস। আমার মায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত। যিনি ঘরছাড়াদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। আমি শুরু করেছি ফুড ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিপুল ফলোয়ার রয়েছে। টুইটারে তার ফলোয়ার ৫৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন, ফেসবুকে ৪৪ মিলিয়ন, ইনস্টাগ্রামে ৩৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ও ইউটিউবে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন।
এর আগে সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার কথা জানালে নরেন্দ্র মোদির ভক্তরা হতাশ হন এবং দ্রুত শুরু হয় হ্যাশট্যাগ নো স্যার। যার মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য সকলে তাকে মিনতি করতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই পোস্টটি ৪৯ হাজার বার রিটুইট করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাইক পড়ে যায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৮০০টি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন