প্রাইভেসি সেটিংসে অনেক পরিবর্তন আনার পরও ব্যবহারকারীর গোপন মেসেজ পড়ার সুবিধা রেখেছে ফেসবুক। নিউইয়র্কভিত্তিক মিডিয়া কোম্পানি ব্লুমবার্গের সঙ্গে আলাপকালে ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত কথোপকথন পড়ার এবং তাদের ডেটার ব্যবহার নিয়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে সমালোচনা দীর্ঘদিন ধরে। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে গ্রাহকের তথ্য সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি। সেই তথ্য দিয়ে অ্যানালিটিকা ট্রাম্পকে নির্বাচনী প্রচারে সহায়তা করে।
বিষয়টি নিয়ে বিপদে পড়ার পর ফেসবুক নিজেদের ব্যবসার ধরনে পরিবর্তন আনার কথা জানায়। এ ছাড়া কিছুদিন আগে ডেভেলপারদের সম্মেলনে জাকারবার্গ ফেসবুকের প্রায় আটটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিবর্তন আনার কথা জানান। তার মধ্যে অন্যতম ছিল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচার। সেটি ইতিমধ্যে তারা চালুও করেছে।
এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন তৃতীয় পক্ষের হাত থেকে আপনার তথ্য রক্ষা করার একটি প্রযুক্তি। যখন আপনি অন্য কারোর সঙ্গে কথা বলেন, তখন এই ফিচারটি গোপন একটি কোডের সাহায্যে আলাপনকে শুধু আপনাদের ভেতরই সীমাবদ্ধ রাখে। দুর্বোধ্য ওই কোড তৃতীয় কোনো পক্ষ বুঝতে পারে না।
এত কিছুর পরও জাকারবার্গের নতুন সাক্ষাৎকার বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। তিনি জানিয়েছেন, মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি যখন কারো সঙ্গে কথা বলেন কিংবা লেখেন সেটি স্ক্যান করে ফেসবুক।
ফেসবুকের দাবি, সহিংসতা কিংবা বিদ্বেষ ঠেকাতে এটি অটোমেটেড একটি ফিচারের মাধ্যমে করা হয়। কোনো মানুষ করে না। বিতর্কিত কনটেন্ট কিংবা লিংক ধরা পড়লে ব্লক করা হয়।
এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের কোনো কর্মকর্তা ব্যবহারকারীর ভয়েস শুনতে কিংবা ভিডিও দেখতে পারেন না বলেও দাবি তাদের।
ফেসবুকের এই দাবি বিশ্লেষকেরা খুব একটা মানতে পারছেন না। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফেসবুকের প্রাইভেসি টুলসে পরিবর্তন আনলেও তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের যে নীতিমালা সেটি একই থাকছে। অর্থ্যাৎ এখনো এখানে আপনি আগের মতো অনিরাপদ!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন