বুরচিন ছায়াপথের আবিষ্কারকারী মুসলিম মহাকাশ বিজ্ঞানী বুরচিন মুতলু পাকদিল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তুর্কি বংশদ্ভুত তরুন বিজ্ঞানী। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এই বিজ্ঞানী মূলত তার পোস্ট-ডক্টরেট গবেষণার সময়ে ছায়াপথের এই নতুন প্রকার আবিষ্কার করেন।
শৈশব থেকেই বুরচিন পদার্থবিজ্ঞান ও আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসতেন। তার পছন্দের জায়গা থেকেই মূলত তার মহাকাশবিজ্ঞানের উপর উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সূচনা হয়। ২০১২ সালে তিনি টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন। ২০১৭ সালে তিনি মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাকাশবিজ্ঞানের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
ডক্টরেট অর্জনের পর আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পোস্ট ডক্টরেট গবেষণার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে মহাকাশ পর্যবেক্ষক ও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন।
আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে দেখতে কিভাবে ছায়াপথসমূহ গঠিত ও পরিবর্তিত হয়। এমনই এক পর্যবেক্ষন করতে গিয়ে ২০১৭ সালে তিনি একটি নতুন ছায়াপথ আবিষ্কার করেন, যার নাম রাখা হয় PGC 100714। তিনি প্রথমে একে হোগ প্রকৃতির (Hoag-type) ছায়াপথ হিসেবে চিন্তা করেছিলেন। পরবর্তীতে অধিক গবেষণার মাধ্যমে তিনি এর মাঝে কিছু পার্থক্য খুজে পান, যা সাধারনভাবে আগে কেউই পর্যবেক্ষন করেনি। ছায়াপথের মূল লাল কেন্দ্রবিন্দু এবং নীল বর্হিচক্রের মাঝামাঝি তিনি একটি অনুজ্জল লাল চক্র আবিষ্কার করেন। ছায়াপথ দেখতে সর্পীল আকৃতির হলেও অন্যান্য বিভিন্ন আকৃতির ছায়াপথও আবিষ্কৃত হয়েছে। বুরচিনের আবিষ্কৃত এই ভিন্নাকৃতির ছায়াপথটির প্রকারকে তার নামে বুরচিন ছায়াপথ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
তার কঠোর পরিশ্রম এবং আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি তরুন প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছেন। তরুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা সৃষ্টির স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ২০১৮ সালে টেড ফেলো হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন