স্মার্টফোনে যে পারসোনাল অ্যাসিস্টেন্ট সুবিধা দেয়া হয় তা বেশ জনপ্রিয়। সবচেয়ে আলোচিত অ্যাসিস্টেনটট নিঃসন্দেহে আইফোনের 'সিরি'। এই সিরির সঙ্গে কথা বলাটা সবাই দারুণ উপভোগ করে। বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর দেয় সে। কেউ কি কখনো ভেবেছেন, 'সিরি' আসলে কে?
সিরির কণ্ঠটা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তার সঙ্গে আলাপচারিতা অনেকেই উপভোগ করেন। অবশ্য সব কাজই যে সে অনয়াসে করে ফেলে তা নয়। ২০১৩ সালে সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুসান বেনেট নামের একজন ভয়েস আর্টিস্ট ছিলেন। সিরির কণ্ঠে তার কণ্ঠই দেয়া হয়েছে। কিন্তু তখন সুসান বোঝেননি যে একটা সময় বিশ্বের ১০০ মিলিয়ন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে তাকে।
ঘটনার শুরু ২০০৫ সাল থেকে। এর আগে স্ক্যানসফটের সঙ্গে একটা চুক্তি করেছিলেন। এক ডেটাবেজের জন্যে কণ্ঠ দেন তিনি, যা উক্তি সৃষ্টি করবে। তাকে কিছু অদ্ভুত বাক্যাংশ এবং বাক্য পড়তে হয়। স্ক্যানসফট সেই বাক্যকে ভেঙে ভাওয়েল, কনসোনেন্ট আর অনুচ্ছেদ তৈরি করে। এর সবই পরে সিরির কথায় রূপ নেয়।
সুসান জানতেন না যে তার কণ্ঠ অ্যাপলের আইফোনে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু পরে আইফোনে নিজের কণ্ঠ পেয়ে চমকে যান তিনি। একটা পর্যাযে ঠিক করেন, এই কণ্ঠ যে তার তা প্রকাশ করবেন তিনি। আসলে বুঝতেই পারেননি যে এক বিশাল মাপের বাণিজ্যের সাম্রাজ্যের অংশ হয়েছেন তিনি। কেবল আইফোনে কণ্ঠ দিয়েই ধনী হয়েছেন তিনি। অনেকে ধারণা, সুসান বেনেট ৫.৫ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
সত্যিকার অর্থে ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত এসআরআই ইন্টারন্যাশনালে প্রযুক্তিবিদদের একটি দল ফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জুড়ে দেয়ার প্রস্তাব করে। মানুষ ভয়েস কমান্ড দেবে আর ফোন তা পালন করবে। এইসব পরিকল্পনা থেকে ক্রমেই সিরির জন্ম। আর সেখানে ব্যবহৃত হয় সুসানের কণ্ঠ।
এখন সিরিকে যদি প্রশ্ন করেন, তুমি কে? সেক্ষেত্রে কিন্তু এসব ইতিহাস বলবে না সে। তবে তার কয়েক ধরনের জবাব মিলবে। যেমন-
১. আমি সিরি, আপনার ভার্চিয়াল অ্যাসিস্টেন্ট,
২. আমি সিরি, সাহায্যের জন্যে আছি,
৩. আমি সিরি, কিন্তু নিজের সম্পর্কে বলতে পছন্দ করি না,
৪. আমি সিরি, তবে আমার সম্পর্কে বলা এটাই যথেষ্ট যে, আপনাকে কীভাবে সহায়তা করতে পারি?
আবার যদি প্রশ্ন করেন, সিরি, তুমি কোথা থেকে এসেছো? সিরি বলতে পারে-
১. আমি, সিরি, ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপলের করা ডিজাইন,
২. বক্সে যেভাবে বলা হয়েছে, আমি ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপলের ডিজাইন।
সূত্র: চিটশিট
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন