১৯০৫ সালে সুইজারল্যান্ডের পেটেন্ট অফিসের জনৈক কেরানি তিনটি বিজ্ঞানপত্র প্রকাশ করেন। এর মধ্যে দুটি গবেষণা পত্র ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট ও ইথার-আলোর বেগ সমস্যার সমাধান এনে দিল। এই অখ্যাত কেরানী দ্রুতই বিখ্যাত হয়ে উঠলেন। তিনি বদলে দিলেন মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা। তিনি হলেন আমাদের মিস্টার ইউনিভার্স অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (Albart Einstein, ১৮৭৯-১৯৫৫)।
আইনস্টাইনের তিনটি বিজ্ঞান পত্রের মধ্যে একটি ছিল ব্রাউনিয় গতি সম্পর্কে। তার দ্বিতীয় পত্রটি ছিল ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট সম্পর্কে।
ম্যাক্স প্লাঙ্কের কোয়ান্টম হাইপোথিসিস মাথায় রেখে আইনস্টাইন প্রস্তাব করেন যে, আলো অসংখ্যা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোয়ান্টা বা প্যাকেট দিয়ে গঠিত (আইনস্টাইন নিউটনের আলোর কণা তত্ত্ব ফিরিয়ে দেন)।
আইনস্টাইন আলোর কোয়ান্টাকে ফোটন (Photon) নাম দেন। যখন আলো অর্থাৎ ফোটন ইলেক্ট্রনকে আঘাত করে তখন ইলেক্ট্রন ফোটন থেকে শক্তি নিয়ে কক্ষপথ থেকে বের হয়ে আসে।
ফোটনের এই শক্তি আলোক তরঙ্গের কম্পাঙ্কের সমানুপতিক (অর্থাৎ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ব্যস্তানুপাতিক)। বেশি কম্পাঙ্কের আলোর (যেমন UV আলো) ফোটনের শক্তিও বেশি তাই এরা ইলেক্ট্রনকে বেশি শক্তি দেয়। আবার কম কম্পাঙ্গের আলোর (যেমন ইনফ্রারেড আলো) ফোটনের শক্তি কম তাই এরা ইলেক্ট্রনকে কম শক্তি দেয় ফলে ইলেক্ট্রন তার কক্ষপথ থেকে বের হতে পারে না।
ধাতব পদার্থের উপর ইনফ্রারেড আলো ফেললে তাই ফটোইলেক্ট্রিক ইফেক্ট পর্যবেক্ষণ করা যায় না। ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট ব্যাখ্যার জন্য আইনস্টাইন ১৯২১ সালে নোবেল পুরুস্কার পান।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন