সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের নামে মামলা করেছে বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়।
সন্ধ্যায় বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি ইউনিট সিনেমাটি দেখেছে।
তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কী হয় সপ্তাখানেকের মধ্যে জানতে পারবেন। ’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২-এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। মামলায় বাদী হয়েছেন বন্য প্রাণী পরিদর্শক নারগিস সুলতানা। সাক্ষী করা হয়েছে তদন্ত কমিটিতে কাজ করা অপর তিন সদস্য আব্দুল্লাহ আস সাদিক, অসীম মল্লিক ও রথিন্দ্র কুমার বিশ্বাসকে।
‘হাওয়া’ সিনেমায় বন্য প্রাণী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার পর সম্প্রতি স্টার সিনেপ্লেক্সে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা সিনেমাটি দেখেন। সিনেমাটি দেখার পর এর সত্যতা পাওয়ার কথাও জানান তারা গণমাধ্যমে।
ওই সময় সিনেমাটি দেখে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, ‘সিনেমায় মাছ ধরা নৌকায় দীর্ঘ সময় একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি রাখা হয় এবং শেষে পাখির মাংস খাওয়া হয়, যা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২-এর সুস্পষ্ট বিরোধী। কেননা বন্য প্রাণীকে খাঁচায় আটক রাখা কিংবা বন্দি রাখা আইনের লঙ্ঘন। ’
তবে সিনেমাটির নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন শুরু থেকে দাবি করে আসছিলেন, তারা আইন লঙ্ঘনের মতো কিছু করেননি।
‘হাওয়া’ সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই আলোচনায় আসে। মুক্তির পর সিনেমাটি নিয়ে আরো বেশি আলোচনা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করে সিনেমাটি। মুক্তির এত দিন পরেও হাওয়া নিয়ে দর্শকদের মাঝে উন্মাদনা রয়েছে প্রবল।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন