জায়েদ খান চমক দেখিয়েছেন বটে। সাপে-নেউলে সম্পর্ক থেকে বন্ধুত্বের, মিত্রতার সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন, সেটি দেখিয়েছেন এই অভিনেতা।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গত ২০১৯-২০২১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সেবার ওই প্যানেলের কাছে পরাজিত হয় মৌসুমীর পুরো প্যানেল। এবার সেই প্রতিপক্ষের দলে যোগ দিয়ে নির্বাচন করছেন- বিষয়টি অনেকের কাছে খটকা লেগেছে।
এফডিসিতে কান পাতলেই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। অবশ্য রহস্যময় হয়ে ওঠা এই কাহিনি খোলাসা করলেন মৌসুমী নিজেই। মৌসুমী বলেন, দুই বছর ধরে দেখে আসছি, মিশা-জায়েদ শিল্পীদের জন্য সেবামূলক কাজ করছে। বিগত দিনে তাদের কাজগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন শিল্পী সমিতির হয়ে তারা সবগুলো কাজই ভালো করেছে। আমি তাদের সেই ভালো ভালো কাজের সমর্থক হিসেবেই তাদের প্যানেলের হয়ে দাঁড়িয়েছি।'
তবে বিষয়টিকে আরো স্বচ্ছ করছেন ঘনিষ্ঠজনরা। জানা গেছে, গত মেয়াদে মৌসুমীকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে তার কিছু কাছের শিল্পী পেছন থেকে সরে গিয়েছিল। তাই এবার তাদের পেছনে নেই তিনি। অভিমানে প্রতিপক্ষের দলেই ভিড়েছেন মৌসুমী।
তবে মৌসুমী বলতে রাজি না হলেও বিষয় যে এমনই তা অনেকে হলফ করে বলছেন। এমন কয়েকজন স্পষ্টত বলেছেন কালের কণ্ঠকে।
এবার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেতা পীরজাদা হারুন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বি এইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় দেখা যাবে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে। এই বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন