মডেল, উপস্থাপক ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার শোবিজ ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের। সুনামের সঙ্গে তিনি কাজ করে এসেছেন। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা তিনি। কিন্তু গত দুবছর তিনি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত সময় পার করছেন। সেই আলোচনার মাত্রা বেড়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত নির্মাতা সুজিত মুখার্জির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর থেকে। কলকাতা ও বাংলাদেশের মিডিয়া ওঁৎ পেতে থাকে তাদের কোনো রসালো খবরের দিকে। মিথিলা এখন স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে আছে সন্তান আইরা। কেমন কাটছে কলকাতার দিনগুলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শোবিজ আমার কাছে এখন শুধু শখের জায়গা। পেশায় আমি একজন ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কার। তাই আমি শোবিজকে খুব বেশি মিস করছি তা নয়। আমার দিন সাধারণভাবেই কাটছে। কলকাতা আমার কাছে নতুন শহর নয়, কিন্তু নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে। টানা নতুন পরিবেশে থেকে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এটা আমার জন্য আনন্দের। সৃজিত তো আছেই, তার মা, বোন ও তার বাচ্চারা আমাকে আপন করে নিয়েছে। তাদের সঙ্গে মজার সময় কেটে যাচ্ছে।’
কলকাতায় থাকার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘বিয়ের পরই লকডাউনের জন্য অনেক দিন স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়েছে (হা হা হা)। তাই সুযোগ খুঁজছিলাম কবে আমরা আবার একসঙ্গে হতে পারব। সুযোগ পেয়েই কলকাতা চলে এসেছি। আসলে জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিসাব করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কলকাতায় আসার সিদ্ধান্তও ভেবেচিন্তে নিয়েছি। সংসার করতে গেলে একসঙ্গে থাকাটা জরুরি। সৃজিত কলকাতায় তার কাজে ভীষণ ব্যস্ত। তাই তাকে ঢাকায় সেটেল হতে বলিনি। আমি বিবেচনা করে দেখলাম, আমার পক্ষেই কলকাতা গিয়ে থাকা সহজ। আমি ব্র্যাকের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছি। এই কাজের জন্য আমাকে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন দেশে থাকতে হয়। অফিসে বসে কাজ করার চাপ নেই। আর এটা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট, তাই আমি যেকোনো জায়গায় থেকেই কাজটি করতে পারি। এখন করোনা পরিস্থিতির জন্য হয়তো আমার ফিল্ড ওয়ার্ক করা হচ্ছে না। কিন্তু আমি কলকাতায় বসেই আনুষঙ্গিক কাজ করে ফেলতে পারছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার হয়তো বিভিন্ন দেশে ছুটতে হবে। কলকাতাতেও সেভাবে থাকা হবে না।’ আর শোবিজের কাজ? মিথিলা বলেন, ‘বললাম না, জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে চুজ করতে হয় কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখন কাজ আর সংসারকেই চুজ করেছি। তবে ঢাকায় আমার পুরো পরিবার রয়েছে। তাদের ছেড়েও তো বেশি দিন থাকা সম্ভব নয়। ঢাকায় এসে ভালো কাজ থাকলে করব। এটা নিয়ে সমস্যা হবে না।’
আইরার সঙ্গে বাবা তাহসানের দূরত্ব বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইরার বাবার মন-মানসিকতা সম্পর্কে তার ভক্তরা জানেন। আইরার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা দুজনই সমান গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কোনো সিদ্ধান্ত আমি একা নিতে পারি না। আইরাকে নিয়ে কলকাতায় থাকার সিদ্ধান্তটাও আমরা পরিকল্পনা করেই করেছি। করোনার জন্য আইরা বেশ কিছু দিন বাবার কাছে যেতে পারছে না। কিন্তু প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা অনলাইনে তারা চ্যাট করছে, গেম খেলছে। আইরা এখন অনলাইনে ঢাকার সভ্যতার কাছে গানও শিখছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই এক্সাইটেড।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন