চাকরি খুঁজতে গেলে একটি উপযুক্ত ও আকর্ষণীয় সিভি বা আবেদনপত্র আপনাকে বানাতেই হবে। শুধু চাকরিই নয়, যে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা, গবেষণা বা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সিভি দিতে সিভি চাওয়া হয়।
তবে নিজেকে যথেষ্ট যোগ্য মনে করলেও আপনার সিভি লেখা বা পাঠানোতে কিছু ভুলে কারণে সেটি খুলেও দেখবেন না নিয়োগদাতা বা কর্তৃপক্ষ।
চাকরির পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক না পেয়ে আপনার ধারণা হবে, হয়তো আপনাকে নিয়োগদাতারা পছন্দ করেননি। কিন্তু আপনি জানেনও না যে, আপনার সিভি তারা খুলেননি।
যেসব কারণে আপনার সিভি নিয়োগদাতারা খুলে দেখবেন, সেগুলো সম্পর্কে আসুন জেনে নিই।
১. অযৌক্তিক ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার
আমরা অনেক সময় এমন ই-মেইল ঠিকানা থেকে সিভি পাঠাই, যা আমাদের নামের সঙ্গে সম্পর্কহীন বা যুক্তিযুক্ত নয়। যেমন, [email protected] বা [email protected] এমন ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে থাকে অনেকে, সিভি পাঠানোর ক্ষেত্রে যা উচিত নয়। ই-মেইল ঠিকানা হতে হবে নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে। সিভি পাঠানোর জন্য প্রয়োজনে আলাদা ই-মেইল ঠিকানা খুলে নিন।
২. ই-মেইলে সাবজেক্ট বা বিষয় লিখতে ভুল
আবেদন করার সময় খেয়াল করুন, কোন ফরম্যাটে আপনাকে সিভি পাঠাতে বলেছে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। পোস্ট বা বিষয়ও উল্লেখ করা থাকে। ফলে ই-মেইল করার সময় সাবজেক্ট অপশনে সেটিই লিখতে হবে। কোনোভাবেই 'মাই সিভি' এমন লেখা যাবে না সাবজেক্টে। কারণ, একটি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পোস্টের জন্য হাজার হাজার সিভি জমা পড়ে, সেখানে সাবজেক্টে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা না থাকলে আপনার সিভি অসংখ্য মেইলের ভিড়ে হারিয়ে যাবে।
৩. ই-মেইলে ভুল বানান
মেইলের সাবজেক্টে বা বিবরণে ভুল বানান থাকলে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা হয় নিয়োগদাতাদের। বানানসহ ব্যাকরণগত ভুল থেকে যায় অনেকের মেইলে। এসব ভুল এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. সঠিক নামে সিভির ফাইল সেভ না করা
অনেকে সিভি লিখে ফাইলটি সেভ করেন নানা শব্দ দিয়ে, যেমন-cv, my cv ইত্যাদি। কোনো চাকরির আবেদনে একই ভুল অনেকেই করে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কোনো নামে ফাইল সেভ না করায় আপনার সিভি খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। ফলে দেখা যায়, আপনার সিভি খুলেই দেখেননি নিয়োগদাতারা। পোস্ট সহকারে নিজের নাম দিয়ে ফাইল সেভ করাটাই যুক্তিযুক্ত।
৫. আলাদাভাবে সিভি এবং ছবি পাঠানো
অনেকেই ভিন্ন মেইলে সিভি ও ছবি পাঠান। এক মেইলে সিভি ও ছবি পাঠাতে হবে। কারণ শত শত আবেদনকারীর মেইলের মধ্যে আলাদাভাবে আপনার ছবি খুঁজবে না কেউ।
৬. কভার লেটার সংযুক্ত না করা
অনেকে শুধু সিভি পাঠিয়ে দিয়েই চাকরির আবেদন করে ফেলে, সঙ্গে কভার লেটার পাঠান না। কভার লেটার না চাইলেও আপনার উচিত সিভির সঙ্গে সেটি সংযুক্ত করে দেয়া। চাকরিটির জন্য আপনি কেন যোগ্য, নতুন প্রার্থী হলে চাকরির ব্যাপারে আপনার আগ্রহ কেমন, আপনার দক্ষতা আর জ্ঞান কিভাবে এই চাকরিতে আপনাকে সাহায্য করবে ইত্যাদি কভার লেটারে উল্লেখ করুন। সিভি ও কভার লেটার একসঙ্গেই পাঠাতে হবে। ই-মেইলের বডিতে আলাদাভাবে কভার লেটার না পাঠিয়ে সিভির সঙ্গে পিডিএফ ফরম্যাটে পাঠানোই অধিক যুক্তিসঙ্গত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন