চাকরির বাজারে সবচেয়ে আলোচিত বাক্য হচ্ছে-পূর্বে কোনো কাজের অভিজ্ঞতা আছে কী না। এখন পড়াশোনা শেষে চাকরিতে শুরুর আগেই কীভাবে মিলবে এই অভিজ্ঞতা।
চাকরি না করেই অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব কী না। হ্যাঁ, সম্ভব। সেটি হচ্ছে-ইন্টার্নশিপ। কমবেশি সবাই ইন্টার্নশিপের সঙ্গে পরিচিত থাকলেও এর সম্পর্কে অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই।
নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পারিশ্রমিকে বা বিনা পরিশ্রমিকে কাজ শেখা বা দক্ষতা বৃদ্ধিই হচ্ছে ইন্টার্নশিপ। কাজ শেষে আপনাকে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেয়া হবে একটি সার্টিফিকেট।
ইন্টার্নশিপের সার্টিফিকেটই আপনাকে দেবে চাকরির আগে কোনো কাজের অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি।
চাকরিতে ঢুকার আগে একজন কর্মী হিসেবে আপনাকে অনেকটা যোগ্য করে তুলে এই ইন্টার্নশিপ।
ফলে ইন্টার্নশিপ সম্পন্নকারী প্রার্থীরাই নিয়োগদাতাদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে থাকেন।
সাধারণত যে বিষয়ে শিক্ষাজীবন পার করেন, সেই বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কাজের ওপর ইন্টার্নশিপ হয়।
শিক্ষাজীবন শেষ করার আগেই ইন্টার্নশিপ শেষ করার উপযুক্ত সময়। এরপর আপনি সরাসরি চাকরির পাওয়ার দৌড়ে নেমে পড়বেন।
মূলত শিক্ষাজীবন থেকেই শুরু করতে হয় চাকরির জন্য প্রস্তুতি। ইন্টার্নশিপও সেই প্রস্তুতির অংশ।
ব্যবসায় সম্পর্কিত বিষয় যেমন, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, ফিন্যান্স, প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় যেমন, কম্পিউটার সায়েন্স এবং প্রকৌশল বিদ্যার বিষয়গুলোতে সহজে ইন্টার্নশিপ মেলে।
কোনো প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ পেতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সিভি তৈরি করা। কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আকর্ষণীয় একটি সিভি আপনাকে বানাতে হবে।
শিক্ষাগত ফলাফলের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকাণ্ড, যোগ্যতা ও অর্জন সিভিতে যুক্ত থাকলে ইন্টার্নশিপ পেতে সুবিধা হয়। তবে কোনোভাবে মিথ্যা তথ্য বা কাজের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিষয় যুক্ত করা উচিত নয়।
ইন্টার্নশিপ করার ফলে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ধরন সম্পর্কে আপনার বোঝাপড়া তৈরি হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কীরূপ হবে, সেটিও জানা হয়ে যাবে।
প্রাতিষ্ঠানিক কাজের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠার সুযোগ তৈরি করে দিবে ইন্টার্নশিপ।
কোনো কাজে চ্যালেঞ্জ নেয়া, দলীয়ভাবে কাজ করা, প্রাতিষ্ঠানিক আদব-কায়দা শেখার মধ্য দিয়ে আপনি হয়ে উঠবেন চাকরির জন্য উপযুক্ত ও যোগ্যতাসম্পন্ন একজন কর্মী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন