ক্যারি মার্শাল। ২২ বছর ধরে বাড়িতে বসেই অফিস করছেন। এর মধ্যে ২১ বছর তিনি ফুলটাইম ডিউটি করেছেন বাড়িতে বসেই। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক প্রযুক্তি বিষয়ক ম্যাগাজিন টি-থ্রি’র এই লেখিকা লকডাউনের সময় হোম অফিসের ১৫টি পরামর্শ দিয়েছেন।
১. ভালোভাবে বসুন: অফিসের পুরোটা কাজই আপনাকে চেয়ারে বসে করতে হয়। তাই ভালোভাবে বসা অভ্যাস করুন। না হলে শারীরিক ক্ষতি হবে। ভালো চেয়ার কিনতে দ্বিধা করবেন না। হারমান মিলার ফার্নিচার কোম্পানি থেকে ১৫ বছর আগে ৫০০ পাউন্ড দিয়ে আমি একটি চেয়ার নিয়েছিলাম। অনেক চাপ সহ্য করে সেটি এখনো আমাকে বহন করে যাচ্ছে।
২. আলাদা স্থান খুঁজুন: নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। কাজের পরিবেশের সঙ্গে পারিবারিক পরিবেশকে গুলিয়ে ফেলবেন না।
৩. ফ্লোরের যত্ন নিন: অফিস চেয়ারে সাধারণত ফ্লোরের বেশ ক্ষতি হয়। অনেক সময় কার্পেট কেটে যেতে পারে। চেয়ারের নিচে কিছু একটা রাখতে হবে। চেয়ারের নিচে ল্যাপটপের চার্জার কিংবা কোনো তার পড়ছে কি না খেয়াল রাখুন। তার কেটে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
৪. ভালো ডেস্ক নিন: ডাইনিং টেবিল ভালো হতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় কাজ করলে আলাদা রুম রাখা প্রয়োজন। ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের জন্য আলাদা ডেস্ক রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
৫. জানলার কাছে ভিডিও কল নয়: মিটিংয়ের সময় বাইরে আলো সরাসরি পড়লে বিশ্রী দেখাতে পারে। ভালো ওয়েবক্যামও সরাসরি প্রবেশ করা আলো সামলাতে হিমশিম খায়। তাই জানলার খুব পাশে বসে ভিডিও কলে কথা বলা ঠিক নয়।
৬. আলো গুরুত্বপূর্ণ: কাজের সময় প্রাকৃতিক আলো দারুণ অনুভূতি এনে দেয়। সেটি করতে গিয়ে আবার সরাসরি রোদে বসে কাজ করার দরকার নেই। তবে এমন জায়গায় বসার চেষ্টা করুন যেখানে বাইরের পরিবেশটা চোখে পড়ে। রাতের বেলায় ভালো আলো রাখুন রুমে। তাতে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে।
৭. বাইরে যান: যদি সম্ভব হয় তাহলে বাগানে বসে মাঝে মাঝে কাজ করতে পারেন। সেজন্য অবশ্য আলাদা ফার্নিচার দরকার হবে। আজকাল ভালো ছাতা কিনতে পাওয়া যায়। দিনের শিফটে তার নিচে কাজ করতে পারেন।
৮. ওয়াইফাই বদলে ফেলুন: কাজের সময় নেট দুর্বল হলে বিরক্তির সীমা থাকে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্রডব্যান্ড লাইনের সক্ষমতা যাচাই করুন। তাতে কাজ না হলে রাউটার আপগ্রেড করুন। দুই থেকে তিন অ্যান্টেনার রাউটার ব্যবহার করা ভালো।
৯. সারা দিন কাজ করবেন না: সারা দিন স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার জন্য আমাদের জন্ম হয়নি। অফিস টাইমে নিজের চোখকে নিয়মিত বিশ্রাম দিন। বিশ্রাম দিন দুই হাতকে।
১০. কিবোর্ড-মাউস ব্যবহার করুন: ল্যাপটপে কাজ করলে কিবোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করুন। না হলে গতি কমে যাবে।
১১. হেডফোনে ব্যয় করুন: ভালোভাবে আলাপ সারতে ভালো হেডফোন নিন।
১২. হালকা খাবার: কাজের ভেতর ভারি খাবার এড়াতে মাঝে মাঝে হালকা খাবার খেতে পারেন।
১৩. শীতে সাবধান থাকুন: শীতের সময় নিজেকে গরম রাখার ব্যবস্থা করুন। না হলে অসুস্থ হয়ে যাবেন।
১৪: ল্যাম্প ব্যবহার করুন: শীতকালে অনেক সময় দিনের পর দিন সূর্যের দেখা মেলে না। তখন রুম গরম রাখতে ল্যাম্প ব্যবহার করতে পারেন।
১৫. পোশাক নির্বাচনে সতর্ক থাকুন: ঘরোয়া পোশাক পরে কাজ না করা ভালো। তাতে অফিসের মেজাজটা আসে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন