করোনা মোকাবিলায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের পাশাপাশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সিনেমা জগতের নক্ষত্ররাও। অক্ষয় কুমার থেকে বরুণ ধাওয়ান, বা দক্ষিণী ইনড্রাস্টির সুপার স্টাররা ইতিমধ্যেই আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।
ফলে অনেক মানুষের মনেই প্রশ্ন ছিল, শাহরুখ খান কেন এখনও চুপ? তিনি কেন অনুদান দিচ্ছে না।
অবশেষে সেই সব বিরোধীদের চমকে দিলেন এসআরকে। বাদশাহ উপাধির নাম রাখলেন তিনি। তাই শুধু আর্থিক অনুদান নয়, প্রায় একটা প্যাকেজই ঘোষণা করলেন তিনি। তবে শুধু একা শাহরুখ নয়, তার স্ত্রী গৌরী খান, তাদের প্রোডাকশন হাউজ রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট, মীর ফাউন্ডেশন এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষ থেকে এই প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে।
তারা যে ধরণের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা হল,
১) প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল: প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান।
২) মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল: রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট এই ত্রাণ তহবিলে দান করবে।
৩) স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) : কেকেআর ও মীর ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র সরকারকে ৫০,০০০ পিপিই কিটস দান করবে।
৪) এক সাথ – দ্য আর্থ ফাউন্ডেশন : মীর ফাউন্ডেশন ও এক সাথ – দ্য আর্থ ফাউন্ডেশন মিলিতভাবে মুম্বাইয়ের ৫৫০০টি পরিবারের দৈনন্দিন খাদ্যসামগ্রী প্রদান করবে, কমপক্ষে এক মাসের জন্য। এছাড়াও তারা একটি কমিউনিটি কিচেন স্থাপন করবে, যেখানে প্রতিদিন ২০০০ লোকের জন্য খাবার রান্না করা হবে এবং তা হাসপাতালে ও বাড়িতে সরবরাহ করা হবে যেখানে খাদ্যাভাব দেখা গেছে।
৫) রোটি ফাউন্ডেশন: মীর ফাউন্ডেশন ও রোটি ফাউন্ডেশন প্রতিদিন ১০,০০০ খাদ্য-থলির ব্যবস্থা করবে মহারাষ্ট্রের দিনমজুর ও দরিদ্র পরিবারের জন্য, কমপক্ষে এক মাসের জন্য (মোট ৩ লক্ষ খাদ্য-থলি)।
৬) ওয়ার্কিং পিপলস চার্টার : মীর ফাউন্ডেশন ও ওয়ার্কিং পিপলস চার্টার মিলিতভাবে দিল্লির ২৫০০ জন দিনমজুরের জন্য মুদিখানার জিনিস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করবে, কমপক্ষে এক মাসের জন্য।
এই প্রসঙ্গে শাহরুখ খান এক দীর্ঘ বার্তাও দিয়েছেন। কিন্তু সবশেষে তিনি যে মূল কথাটি বলেছেন তা হল, ‘রাতের পর নতুন সকাল আসবে। দিন বদলাবে না, তারিখ বদলে যাবে। আমি আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। দয়া করে আমার জন্যও তাই করবেন।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন