দীর্ঘদিন সুখে শান্তিতে করছেন ঘর সংসার করছেন তারা। সফলতা, প্রাচুর্য সবই আছে কমতি শুধু ’সন্তান’। এই অপূর্ণতা পূর্ণ করবেন কবে? কী নেই তাদের? তবে কেন সন্তান নেই?
এমন ইস্যু নিয়ে কথা হলো শোবিজ অঙ্গনের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। কী ভাবছেন ভবিষ্যত নিয়ে। হাতেগোনা কয়েকজন এ নিয়ে কথা বললেও, প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেছেন অনেকে।
এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিয়ের পর অনেকই আর নতুন করে সন্তান নেননি। কিছু তারকার প্রথম বিবাহের সন্তান ছিল এবং পরের বিয়েতে আর সন্তান চায়নি এই কাহিনী কিন্তু অনেকেরই অজানা।
আমাদের দেশীয় তারকাদের মধ্যে নায়ক আলমগীর ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন গীতিকার খোশনুরকে। গায়িকা আঁখি আলমগীর তাদের একমাত্র কন্যা। খোশনুরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলমগীর ১৯৯৯ সালে গায়িকা রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন। আলমগীর- রুনা লায়লা দম্পতির কোনো সন্তান নেই।
রুনা লায়লার আলমগীরের আগে তিনটি বিয়ে হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঘরে তানি লায়লা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এমন অনেকেই আছেন।
যেমন হিল্লোল -নওশীন দম্পতির সন্তান নেই। দুজনারই আগের ঘরে সন্তান রয়েছে। হিল্লোলের মেয়ে ও নওশীনের ছেলে আছে।
অমিতাভ রেজা বিয়ে করেছিলেন জেনিকে। সে ঘরে সংসার হয়নি। জেনি পরে বেসরকারি টেলিভিশন কর্মকর্তা তানভীরকে বিয়ে করেন। সে ঘরেও কোনো সন্তান নেই।
মাহিয়া মাহি
তিনি বললেন, ক্যারিয়ারটা নিয়ে আর একটু ভাবতে চাই। ধরে রাখুন আরও বছর পাঁচেক পরে সন্তানের জননী হচ্ছি। ২০১৬ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন মাহি। তবে বয়স কত তা বললেন না। জানালেন ত্রিশের নিচে।
তিশা
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। একজন নির্মাতা, অন্যজন অভিনেত্রী। এ দম্পতি বিয়ে করেছেন ৮ বছর হয়ে গেল। ২০১০ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এখনো নি:সন্তান তারা। তিশার বয়স ৩৫ বছরের বেশি। সন্তান নিয়ে কী ভাবছেন? ’ভাবনায় তো অনেক কিছুই থাকে। সব তো ঠিকঠাক করা হয় না। এখনি সঠিক সময় কিনা জানি না। তবে আমাদের দুজনেই তুমুল ব্যস্ততা কাটিয়ে অনেক কিছু ভাবতে পারি না।
কুসুম শিকদার
২০০৭ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন। ১১ বছর পরেও তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই। ঠিক কী কারণে তাঁদের ঘরে সন্তান নেই।
সুবর্ণা মুস্তাফা
ব্যক্তিগত জীবনে হুমায়ুন ফরিদী দুবার বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে করেন ১৯৮০`র দশকে। `দেবযানী` নামের তার এক মেয়ে রয়েছে এ সংসারে। পরবর্তীতে সুবর্ণা মোস্তফাকে তিনি বিয়ে করলেও তাদের মধ্যেকার বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে ২০০৮ সালে। এই দম্পতির কোন সন্তান নেই। বিচ্ছেদের পর সুবর্ণা বিয়ে করেন নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে। ২০০৮ সালের ৭ জুলাই বিয়ে করেছিলেন। নিজের চাইতে ১৪ বছরের ছোট সৌদের ঘরেও মাতৃত্বের স্বাদ পাননি এ অভিনেত্রী।
বন্যা মির্জা
অধ্যাপক মানস চৌধুরীকে ২০১০ সালে বিয়ে করেন বন্যা। ১০ বছর পরেও তাদের ঘরে কোন সন্তান নেই। এ নিয়ে কোন কথা বলতেও রাজি হননি বন্যা। শোনা যায়, তার বর্তমান বয়স ৪৫ ছুইছুই।
তানভিন সুইটি
র্যাম্প, মডেলিং, বিজ্ঞাপনের মডেলিং ছাড়াও অভিনয়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন সুইটি। অভিনেতা ও নাট্য প্রযোজক রিপনের সঙ্গে সংসার জীবনের প্রায় দেড়যুগ হয়ে গেল। সে সংসারে এখনো পর্যন্ত সন্তানের মুখ দেখেননি সুইটি। তবে রিপন-সুইটির সংসার সুখেই চলছে।
শমী কায়সার
লাস্যময়ী এ অভিনেত্রী এখন পর্যন্ত মাতৃত্বের স্বাদ পাননি। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন শমী। বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল দুই বছর। শোনা যায়, রিঙ্গোর আগেও একবার বিয়ে পিড়িতে বসেছিলেন শমী। তৃতীয় বিয়ে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ এ আরাফাতকে। সে বিয়েও নয় বছর পরে ভেঙ্গে যায়। শমী এখন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আছেন। শমীর বর্তমান বয়স ৪৯ বছর।
আফসানা মিমি
১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের। খুব বেশিদিনের সংসার ছিল না। পরবর্তীতে রাকায়াত সংসারী ও পিতৃত্বের স্বাদ পেলেও মিমি আর বিয়ে করেননি। মিমির বর্তমান বয়সও ৫০ বছরের বেশি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন