মানব সমাজে নারী বরাবরই পুরুষের আরাধ্য। কিন্তু নারীদেরকে বুঝতে পারা খুবই কঠিন একটি কাজ। আবার কেউ কেউ ধারণা করেন, নারীরা সম্পর্কের মধ্যে অতি দ্রুত বেরিয়ে যান। তারা সম্পর্কের গভীরতা বুঝতে চান না। যখন সম্পর্কের মধ্যে থেকে আগ্রহের পরিমাণ কমে যায় ঠিক তখনই সরে যান। এমনকী যারা বিবাহিত, তারাও স্বামীর সাথে তাদের সারা জীবন কাটাতে চান না। ভারতের একটি গবেষণায় এরকমই নানা তথ্য উঠে এসেছে।
তাদের জরিপ মতে, সব নারীরা না হলেও ৭৭ শতাংশ নারীই তাদের প্রেমিক বা স্বামীর সাথে একটা সময় প্রতারণা করেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিবেশীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন।
জরিপে আরও উঠে আসে, এখন অনলাইনে পরকীয়ার জন্য অনেক ডেটিং অ্যাপও আছে। আর সেখানে প্রতিনিয়তই ভিড় বেড়েই চলেছে। ভারত ভিত্তিক একটি অ্যাপে এখন সদস্যের সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ সদস্যের বয়সসীমা ৩৪ থেকে ৩৯ বছর। এসব সদস্যের মধ্যে আবার নারী সদস্যের সংখ্যাই বেশি।
গবেষণা হতে জানা গেছে, বিবাহিত নারীরাই পরপুরুষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছেন। এর পেছনে অনেক কারণই রয়েছে। তারা একঘেয়ে জীবন থেকে কিছুটা হলেও নিজেদের বের করে নিয়ে আসতে চান। আবার অনেকেই তাদের একঘেয়েমি কাটাতে সমকামীও হয়ে পড়েন।
সমকামিতা বিষয়ে ভারতের এই গবেষণায় জানিয়েছেন, কোন নারী অন্য নারীর সঙ্গে বিছানা শেয়ার করা নিয়ে আর দ্বিধা করেন না। তারা সমকামিতার মধ্যে নতুন কিছু খোঁজেন। এ ব্যাপারে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি।
গবেষনা জানাচ্ছে, ভারতের বেঙ্গালুরু, মুম্বাই ও কলকাতা শহরে এই প্রবণতা অনেক বেশি। আরও জানা যায়, ৩১ শতাংশ নারীই তাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ৫২ থেকে ৫৭ শতাংশ নারী ব্যবসায়িক ভ্রমণের সময় তাদের স্বামী বা প্রেমিকের সঙ্গেও প্রতারণা করেন। তারা অন্য পুরুষের সাথে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেন।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন