পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন নাকি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলেও তিনি সবসময়ই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এবার তার কলঙ্কের চাপা আগুনে ঘি ঢাললেন তারই বন্ধু ও প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এলটন জন।
২০০৯ সালের জুনে মাত্র ৫০ বছর বয়সে মারা যান মাইকেল জ্যাকসন। জীবিতাবস্থায় তিনি কখনো তার কোনো অপরাধ স্বীকার করেননি। তবে তার বন্ধু এলটন জন তার আত্মজীবনীতে দাবি করেছেন, মাইকেল জ্যাকসন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
‘স্যাক্রিফাইস’খ্যাত সংগীতশিল্পী এলটন জন সম্প্রতি তার আত্মজীবনী ‘মি’তে বেশকিছু বিস্ফোরক তথ্য সন্নিবেশ করেছেন।
জন তার স্মৃতিকথায় একস্থানে লিখেছেন, ‘মাইকেলের বয়স যখন ১৩ বা ১৪, তখন থেকেই আমি তাকে চিনি। যতটা ভাবা যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আদরণীয় শিশু ছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু বিষয়ে তিনি পরবর্তী কয়েক বছরে সবার থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে শুরু করেন। আর এলভিস প্রিসলির মতো তিনিও বাস্তবতা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন।’
জন আরও জানান, প্রত্যেকবার যখনই তিনি মাইকেলের সংস্পর্শে এসেছেন, তার মনে হতো, জ্যাকসন তার প্রকৃত সত্ত্বা একেবারেই হারিয়ে ফেলেছেন।
‘আমি এসব হালকাভাবে বোঝাচ্ছি না। তিনি প্রকৃতপক্ষেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। একজন বিরক্তিকর ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্যভাবে দুঃখজনক ছিল,’ যোগ করেন তিনি।
স্মৃতিকথা লিখতে গিয়ে জন সেই সময়টাতে ফিরে যান, যখন একবার তিনি একটি নৈশভোজ আয়োজন করেছিলেন আর তাতে আমন্ত্রিত ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। মাইকেল সেদিন যেকোন কিছুই খেতে পারতেন। কিন্তু তিনি খাবারের টেবিল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
পরবর্তীতে এই পপ তারকাকে গৃহপরিচারিকা ও তার ১১ বছরের শিশুর সঙ্গে পাওয়া যায়। ‘যে কারণেই হোক না কেন, তিনি কোনোক্রমেই একজন প্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারতেন না,’ লিখেছেন জন।
মৃত্যুর পর জ্যাকসন বারবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন। ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ নামে এইচবিও ডকুমেন্টারিতে দু’জন ব্যক্তি দাবি করেন, তারা যখন শিশু ছিলেন তখন জ্যাকসন তাদের যৌন নির্যাতন করেছিলেন।
২০০৫ সালে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের মামলা হয়। তবে মাইকেল জ্যাকসন সবসময়ই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন