নারীর নিজের শক্তি দেখানোর উপায় হলো পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা, তাদের সঙ্গে ঝগড়া করা নয়। এই পথেই পৃথিবীটা আরও সুন্দর হবে- এমনটাই মনে করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
এই হলিউড সুপারস্টারের মতে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করাটাই ক্ষমতার পরিচয়। সমকক্ষ হওয়ার জন্য কাউকে হারাতে হবে না।
জোলি ডিজনির সাম্প্রতিক ছবি ‘ম্যালফিসেন্ট: মিস্ট্রেস অব ইভিল’-এ ভিলেন হয়েছেন। ছবিটির প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এখন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যখনই কোনো ছবি দেখি যেখানে বলা হয় ‘এই নারী শক্তিশালী’ তখনই দেখি- হয় সেই নারীদের পুরুষকে হারাতে হচ্ছে অথবা সেই পুরুষের সমকক্ষ হতে হচ্ছে বা সেই নারীর কোনো পুরুষকে দরকারই পড়ছে না।” কিন্তু ব্যাপারটি তার উল্টো।
‘ম্যালফিসেন্ট’-এ জোলির সঙ্গে প্রিন্সেস আরোরা চরিত্রে অভিনয় করছেন এলি ফ্যানিং। তার সঙ্গে অভিনয় উপভোগ করেছেন বলেও জানান।
জোলি বলেন, “আমাদের দুজনের চারপাশের পুরুষদের থেকে শেখা এবং ভালোবাসার প্রয়োজন আছে। এ ছবির মাধ্যমে আমার মনে হয় অল্পবয়সী মেয়েদের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ যাবে। তাদের উদ্দেশে বলি নিজেদের শক্তি খুঁজে বের করো। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে তোমাদের চারপাশের পুরুষদের থেকেও শেখো, তাদের শ্রদ্ধা করো।”
এই অভিনেত্রী-নির্মাতা-অ্যাকটিভিস্ট বলেন, নারীকেন্দ্রিক ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দুটি- নারীর হিরোইজম ও ভিলেন বা নেতিবাচক শক্তি। এগুলোও একেবারে অন্যভাবে প্রকাশ পায়, ঠিক যেমন পুরুষ হিরোইজমের ছবিতে বিষয়গুলো অন্যভাবে দেখা যায়।
‘ম্যালফিসেন্ট’ প্রসঙ্গে জোলি আরও বলেন, “ছবিতে নারীরা খুব শক্তিশালী। কিন্তু যে ভিলেন সেও একজন নারী। তাকে হারতেই হয়। নানারকম নারী চরিত্রের আনাগোনা আছে ছবিতে। কিন্তু আমি এটাও বলতে চাই যে পুরুষ চরিত্র আছে তারাও অসাধারণ। তারাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ।”
জোয়াকিম রেনিং পরিচালিত ‘ম্যালফিসেন্ট: মিস্ট্রেস অব ইভিল’ মুক্তি পাবে ১৮ অক্টোবর। আগের কিস্তি ‘ম্যালফিসেন্ট’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে, আয় করে ৭৫ কোটি ডলারের বেশি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন