আমাদের শিল্পী সমিতিতে এখন আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছেন অনেকেই। অনেক রাত পর্যন্ত সমিতিতে ফারুক ভাইয়ের মতো শিল্পী বসে আড্ডা দেন। অথচ রাজ্জাক ভাই বা আলমগীর ভাইকে কখনো তা করতে দেখিনি।’ কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলেন নায়িকা পপি।
নির্বাচনের পরিবেশ নেই জানিয়ে পপি বলেন, ‘গত বছর নির্বাচন করেছিলাম, এই বছর মৌসুমী আপার প্যানেল থেকে নির্বাচন করার কথা ছিল। যেহেতু এফডিসিতে নির্বাচন করার পরিবেশ নেই, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আর নির্বাচন করলেও পাস করতে পারতাম না। সাধারণ সদস্যরা ভোট দিলেও রাতের অন্ধকারে ফেল করানো হতো। আর কোনোভাবে পাস করতে পারলেও নির্বাচনের পর শুরু হতো নোংরা রাজনীতি। আমি নেত্রী হতে ইন্ডাস্ট্রিতে আসিনি, অভিনেত্রী হতে এসেছি।’
অভিযোগ করে পপি বলেন, ‘এখন যাঁরা সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ। তার পরও নিজেদের মতো হঠাৎ করেই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। অন্য একটি প্যানেলকে দাঁড়ানোর সুযোগ পর্যন্ত দেয়নি। আর সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে অসম্মান করে কথা বলছে। সমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন সদস্যপদ দিয়েছে, আবার আগের শিল্পীদের বাদ দিয়েছে। একজন শিল্পী অসুস্থ হলে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। আবার ছবি তুলে ফেসবুকে ছবি দেওয়া হচ্ছে। এটা শিল্পীকে সহযোগিতা নয়, অসম্মান করা হচ্ছে। আমি পরিবারের বড় সন্তান, যে কারণে পরিবারটি আমাকে চালাতে হয়। যেহেতু আমি অবৈধ কোনো কাজ করি না, তাই আমাকে কাজ করতে হয়। এফডিসির নোংরা রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চাই না।’
মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। লাক্স আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন পপি। ১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। তবে তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘কুলি’। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত এই চলচিত্রে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন