গত নির্বাচনে এক প্যানেলে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তাদের প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক রিয়াজ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পপি।
দুই বছর মেয়াদ শেষে আগের সেই সম্পর্কটা আর নেই। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তাদের একে অপরের প্রতি কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির খেলা।
সম্প্রতি সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে বলেন, শিল্পীদের জন্য ফান্ড গঠন করতে একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠান থেকেও ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন রিয়াজ, ফেরদৌস ও পপি। শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের প্রতি কোনো দায় নেই তাদের। এজন্যই ফান্ড গঠনের চ্যারিটি অনুষ্ঠান থেকেও পারিশ্রমিক নেন তারা।
এর প্রতিক্রিয়ায় মিশা ও জায়েদ খানের প্রতি ক্ষোভ ঝারলেন নায়িকা পপি। তিনি বলেন, ‘কে টাকা দিয়েছে? কার নামে? রসিদটা কোথায়? শুধু এই একটা শোয়ের কথা কেন বলা হচ্ছে? আমি তো সমিতির জন্য অনেক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছি। রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, সাইমন, অপুসহ আরও অনেকেই এসব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।’
কখনো পুলিশের অনুষ্ঠান, কখনো র্যাবের, অনেক রকম অনুষ্ঠান। এক টাকাও পারিশ্রমিক নিইনি আমি।
পপি বলেন, ‘আমরা নানা অনিয়ম দেখে অভিযোগ তুলে এবার তাদের প্যানেলে যেতে রাজি হইনি। এজন্যই তারা দুই মাস ধরে আমাদের সাথে বাজে আচরণ করছে। নানা রকম ব্লেম দিয়ে যাচ্ছে। হাসি পায়, তাই বলে ৫০ হাজার টাকার মানহানি করবে? আমি বা রিয়াজ, ফেরদৌসরা ৫০ হাজার টাকার শিল্পী?
আর যদি ধরেও নেই যে আমরা তিনজন নারায়ণগঞ্জে ৫০ করে দেড় লাখ টাকা নিয়েছি তাহলে আরও তো আড়াই লাখ টাকা বাকি। সেগুলো কোথায়? ওই প্রোগ্রামে ৮ লাখ টাকার ৪ লাখ টাকা যাবে সমিতির ফান্ডে আর ৪ লাখ টাকা খরচ করা হবে শিল্পীদের পারফর্ম বাবদ। আমরা তিনজন দেড় লাখ নিয়ে নিলাম। তাহলে বাকি টাকা কোথায়? জোচ্চুরি করে আবার বড় বড় কথা বলা হচ্ছে!’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন