ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আববার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্যের দায়িত্বশীলতা নিয়েও উঠেছে নানাবিধ প্রশ্ন। ঘটনার পর উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে না পাওয়া, কার্যকর পদক্ষেপে তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ৮ দফা দাবিতে এখন উত্তাল বুয়েট।
এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা আবুল হায়াত। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আবুল হায়াত বলেন, ‘বুয়েটে আমরা যখন পড়ালেখা করেছি তখন আমরা মনে করতাম এটা একটা নিরবচ্ছিন্ন দ্বীপ। যেখানে পড়ালেখা হবে, সংস্কৃতি চর্চা হবে, হাসি গান হবে। আমাদের শিক্ষকদের মাঝে যে গুণ দেখেছি, তা এখনকার শিক্ষকদের মাঝে নেই। ছাত্ররা হচ্ছেন ভিসির সন্তানতুল্য। কিন্তু ভিসি তার সন্তানকে দেখতেও যাননি। এটা ঠিক নয়।’
আবুল হায়াত আরও বলেন, ‘ছাত্ররা এখন দানবে পরিণত হয়েছে। কারণ কোনো মানুষ এমন কাজ করতে পারে না। বুয়েটে একসময় ছাত্র রাজনীতি ছিল না। আমরা কি তারপরও আন্দোলন করিনি। দেশের জন্য আন্দোলন করিনি। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের যে দাবি উঠেছে, আমিও মনে করি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হোক। আমি আপনাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একমত পোষণ করছি। অন্তত ১০ বছর ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেখা হোক। ছাত্ররা যখন সুস্থ রাজনীতি করতে পারবে তখন না হয় আবার ছাত্র রাজনীতির অনুমতি দেওয়া হবে।’
আবুল হায়াত জানান, তার স্ত্রীও এই ঘটনায় মর্মাহত। অসুস্থ স্ত্রীকে রেখেই বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে তিনি চলে আসেন বুয়েটে।
উল্লেখ্য, আবরারের সহপাঠীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন